নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে এবার ব্যবসায়িক এবং সামাজিক সংগঠন গুলির সাথে জেলাভিত্তিক মতবিনিময় সভার উদ্যোগ নিল খাদ্য দপ্তর। শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকীভবনে পশ্চিম জেলা ভিত্তিক মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, পশ্চিম জেলার বিভিন্ন মহকুমার মহকুমা শাসক সহ অন্যান্যরা।
একাংশের ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগিরির মূল্য বৃদ্ধি করে চলছে এর ফলে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির মূল্য এতে না নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়েছে ক্রেতা সাধারণের দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধুমাত্র বাজার গুলিতে লোক দেখানো অভিযান সংঘটিত করে চলছিল এবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং ন্যায্য মূল্যের দোকান মালিকদের নিয়ে জেলাভিত্তিক মত বিনিময় সভা সংঘটিত করার উদ্যোগ নিল খাদ্য দপ্তর। শনিবার পশ্চিম জেলা দিয়ে শুরু হয়েছে এই প্রশাসনিক উদ্যোগ এদিন রাজধানী রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ভিত্তিক এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় এই সভায় পুরোহিত করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির প্রতিনিধি বিভিন্ন ক্লাব এবং ন্যায্য মূল্য দোকানের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠক প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি সরকার বরদাস্ত করবে না বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামাজিক সংগঠন এবং বাজারের সঙ্গে যুক্ত রেশন ডিলারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি লাগাম টসনার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে এই ধরনের জেলাভিত্তিক মত বিনিময় সভা দ্রব্যমূল্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরো জানান পরবর্তী সময়ে শীঘ্রই বিভিন্ন জেলাতেও এই ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। এদিকে বাজার গুলিতে কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি বেড়েই চলছে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছে আলু এবং পেঁয়াজের দর অন্যান্য শাকসবজির মূল্যও আকাশছোঁয়া ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে সিএনজি গ্যাসের দাম সোমবার থেকে বৃদ্ধি পেতে চলেছে বেকারি জাত খাদ্য সামগ্রির মূল্য এর ফলে সাধারণ মানুষ কিন্তু বেশ বিপাকে পড়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নি মূল্যে হাতে ছ্যাকা লাগছে ক্রেতা সাধারণের এই অবস্থায় খাদ্য দপ্তরের এই উদ্যোগ বাস্তব ক্ষেত্রে কতটা ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।