Tuesday, November 12, 2024
বাড়িখবররাজ্যসচিবালয়ে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভা ট্রাফিক ব্যবস্থায়...

সচিবালয়ে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভা ট্রাফিক ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা পুরনিগম এলাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যানজট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন দপ্তর ও পুর নিগমকে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন। শহরের নো-পার্কিং জোনগুলোতে নিয়মিত নজরদারি রাখতে হবে। প্রয়োজনে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। আজ সচিবালয়ে ২নং সভাকক্ষে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। নাগরিকগণ যাতে রাস্তায় নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে রাজ্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। আগরতলা শহরে যানজট এড়াতে পার্কিং জোনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন পার্কিং জোনের জন্য স্থান চিহ্নিত করে দ্রুত কাজ শুরু করতে ট্রাফিক পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগরতলা শহর এলাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোর পাশে যে সমস্ত ভেন্ডার ব্যবসা করছেন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে পুর নিগম নির্ধারিত স্থানে বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ঐ সমস্ত এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। তিনি বলেন, আগরতলা শহরের ব্যস্ততম সড়কে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ইউনিট, পুর নিগম ও পরিবহন দপ্তরকে যৌথভাবে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। শহর এলাকায় যে সমস্ত ফ্ল্যাট বা মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে পার্কিং প্ল্যান যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছরের অধিক যানবাহনগুলোর ক্র্যাপিং যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করার প্রয়োজন। পাশাপাশি গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি রোধে গাড়ি বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফ্লাইওভারে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে। শহরের যে সমস্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে তা দ্রুত শুরু করতে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিতোকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

পর্যালোচনা সভায় ট্রাফিক পুলিশ সুপার মানিক দাস বলেন, রাজ্যে ট্রাফিক ইউনিট সৃষ্টি হয় ১৯৯১ সালে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক ইউনিট নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে জনগণকে সড়ক সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। ফলে রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক কম রয়েছে। তিনি জানান, আগরতলা পুর নিগম এলাকায় বর্তমানে ৪৫টি পার্কিং জোন, ২৩টি নো-পার্কিং জোন, ৭টি ওয়ান ওয়ে, ২৯টি বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল ও ৫৯টি ট্রাফিক পয়েন্ট রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সিসিটিভি’র মাধ্যমে নজরদারিও চালানো হচ্ছে।

পর্যালোচনা সভায় এছাড়াও মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, আই জি (আইন শৃঙ্খলা) অনুরাগ ধ্যানকর, পরিবহন দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার সহ আরক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য