রাজধানীর পূর্ব প্রতাপগড় এলাকার বাসিন্দা শান্তি সাহা পাইলসের রোগী ছিলেন।গত কিছুদিন যাবৎ তার রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল।রবিবার বাড়িতেই তিনি খুব দুর্বল অনুভব করতে থাকেন।তখন শান্তি সাহার পুত্ররা তাকে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন।আইজিএম হাসপাতালে এসেও দিব্যি কথাবর্তা বলছিলেন তিনি।অভিযোগ, আইজিএম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী শান্তি সাহাকে একটি বারের জন্য ছোয়েও দেখেননি।রোগীর সমস্যার কথা জানতেও চেষ্টা করেননি।কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী শান্তি সাহাকে জিবি হাসপাতালে স্হানান্তরিত করে দেন।এদিন মৃতের ছেলে জানান,শারীরিক অসুস্হতার মধ্যেও তার বাবা পায়ে হেটে এম্বুলেন্সে উঠে বসেন।রাস্তায় ছেলেকে জানান,তার শরীর ভাল লাগছেনা।এরপর এম্বুলেন্সের মধ্যেই বমি করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।এদিন মৃতের ছেলে আরো অভিযোগ করে জানান,আইজিএম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের চুড়ান্ত গাফিলতির কারনেই তার পিতার এই মর্মান্তিক পরিনতি হয়েছে।আইজিএম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতাল আইজিএম হাসপাতাল ।কিন্তু এই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্হ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির কারনে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে।জানা গেছে,শনিবার রাতেও এক গর্ভবতী মহিলাকে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক নেই এই অজুহাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়।জিবি হাসপাতালে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি ।আইজিএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই ধরনের কর্তব্যে সাধারণ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।