রাজ্যের সার্বিক বিকাশে এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফান্ডিং এজেন্সিগুলির নির্দিষ্ট শর্তাবলিগুলি মেনে প্রকল্পসমূহ রূপায়নে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আজ সচিবালয়ের ২ নং সভাকক্ষে রাজ্যে রূপায়িত এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পগুলি রূপায়নে স্বচ্ছতার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন প্রকার সমস্যা হলে তা দ্রুত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসতে হবে। এতে জনগনও এই প্রকল্পগুলির সুযোগসুবিধা সঠিক সময়ে গ্রহণ করতে পারবেন।
সভায় অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পগুলির নীতি নির্দেশিকা, সঠিক সময়ে রূপায়নের পাশাপাশি বড় মাপের প্রকল্পগুলির পর্যায়ক্রমে করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় মুখ্যসচিব জে. কে. সিনহা বলেন, ফান্ডিং এজেন্সীগুলির নীতিনির্দেশিকা মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্প বাস্তবায়ণে রূপায়নকারী দপ্তরগুলিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে, সহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন। সভায় অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় রাজ্যে রূপায়িত এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পগুলির বর্তমান অবস্থা সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে রূপায়িত ১০টি এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পের কর্মসূচি, প্রকল্প ব্যয়, প্রকল্প সময়সীমা, প্রকল্পের অর্থ প্রদানকারী সংস্থা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তাছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত এক্সটারনেলি এইডেড প্রকল্পগুলি নিয়েও আলোচনা করেন।