ভক্তি, পরম্পরা ও সনাতনীদের আস্থার পীঠস্থান হচ্ছে উদয়পুরের ত্রিপুরাসুন্দরী মায়ের মন্দির। ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই মন্দির। দেশ-বিদেশ থেকে সারা বছর ব্যাপক সংখ্যায় ধর্মপ্রাণ মানুষের আগমন ঘটে এই ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে। আজ উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির প্রাঙ্গণে ত্রিপুরাসুন্দরী উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে ঢেলে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রসাদ প্রকল্পে ৩৭ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। ত্রিপুরা সরকারও আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে মন্দিরের এই নবরূপের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৭ জুন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত ধরে এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এখন এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন রূপে সেজে উঠলে মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির দেশের মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষিত করবে। পর্যটন শিল্পের এই বিকাশে মাতাবাড়ি সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে ও নতুন রোজগারের পথ সৃষ্টি করবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা। উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, গোমতী জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সুজন কুমার সেন, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিল্পী দাস, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার রতি রঞ্জন দেবনাথ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।