ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ঠা ও সচ্ছতার সাথে জনকল্যাণে কাজ করতে হবে। পঞ্চায়েত হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের মূল ভিত্তি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রূপায়িত হয়। প্রকল্পসমূহের সুফল পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছায়। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য-সদস্যাগণ এবং নবনির্বাচিত সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে বলাই গোস্বামী এবং সহকারী সভাধিপতি হিসেবে বিশ্বজিৎ শীল শপথ গ্রহণ করেন। সভাধিপতি এবং সহাকারী সভাধিপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর। সভাধিপতি এবং সহাকারী সভাধিপতির শপথ গ্রহণের আগে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের নবনির্বাচিত ১৭ জন সদস্য-সদস্যা শপথ নেন।
তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পঞ্চায়েত দপ্তরের অধিকর্তা প্রসূন দে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত হয়।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ বহু প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের নির্বাচিত করেছেন। জনস্বার্থে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার স্বচ্ছ নীতিতে বিশ্বাস করে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ নীতি গ্রহণ করে সরকার কাজ করছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতগুলিকেও স্বচ্ছতা বজায় রেখে জনস্বার্থে কাজ করার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বআরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এই দূরদর্শী আহ্বান কে সামনে রেখে স্থানীয় সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিলা পরিষদের নির্বাচিত সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতিদের সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য- সদস্যাদেরও প্রতি সভায় উপস্থিত থাকার জন্য ভাতা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরেও এরূপ ব্যবস্থাপনা রয়েছে। স্বচ্ছতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার এই ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে রাজ্যে চালু ‘আমার সরকার’ ওয়েব পোর্টালটি বিভিন্ন মাধ্যমে বহুল প্রশংসিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাজ্যের বিভিন্ন জিলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রাপ্ত পুরস্কারগুলির তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পুরস্কারগুলি প্রাপ্তির মাধ্যমে সর্বভারতীয় স্তরে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত পরিচালনায় সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যই প্রতিফলিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র বিধায়ক দীপক মজুমদার, বিধায়ক কিশোর বর্মন, বিধায়ক মিনারানী সরকার, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ড. বিশাল কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি বলাই গোস্বামী।