১২ জুলাইয়ের পর গন্ডাছড়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত।এরজন্য দায়ী পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বহীন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা। বৃহস্পতিবার গণ্ডাছড়া এলাকা পরিদর্শন ও এলাকার আক্রান্ত সমস্ত মানুষের সাথে কথা বলে সিপিআইএমের বিধায়ক দলের এই স্পষ্ট ধারণা হয়েছে। তাঁর খুন হওয়া যুবক পরমেশ্বর রিয়াং এর বাড়িতেও যান এবং কথা বলেন পরিজনদের সঙ্গে। দলে ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী ছাড়াও বিধায়ক রামু দাস,সুদীপ সরকার সহ প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস, নকুল দাস ও নরেশ জমাতিয়া । শুক্রবার সিপিএম রাজ্য দপ্তরে বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত মানুষের সাথে কথা বলার সময় তাদের অভিযোগ ছিল পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন এই সন্ত্রাস এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে হয়েছে যা পরিকল্পনা ছাড়া অসম্ভব।গাড়ী করে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন বাড়িতে আক্রমণ সংঘটিত করেছে প্রায় একসাথে। আয়ের উৎস বিশেষ করে গরু নিতে পারবে না তাই মেরে ফেলেছে, এমনকি একটি বাড়িতে দশটি গরুও মেরে ফেলা হয়েছে। যেগুলো নিয়ে যাওয়া যায় সেগুলো যেমন মুরগী ছাগল ইত্যাদি নিয়ে গেছে,।এরপর ঘরে ঢুকে জিনিস পত্র তছনছ করে মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন এমন নৃশংসতা ভাবা যায় না। তিনি বলেন ১৬৫পরিবারের ৪০০ জন মানুষ যারা শিবিরে আছেন তাদের অবস্থা দুর্বিষহ। তিনি বলেন স্থানীয় মানুষের অভিযোগ বিধায়ক, এমডিসি কাউকেই সাহায্যের প্রয়োজনে পাওয়া যায় নি। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান ঠিক মত ক্ষতি নির্ধারণ করে বাড়ি নির্মাণে সহায়তা করার। এছাড়া যাদের দোকানপাট ক্ষতি হয়েছে তাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা, এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প স্থা[ন সহ বিভিন্ন দাবি সরকারের কাছে রাখা হয়েছে। একই সাথে মুখ্যমন্ত্রীকে গন্ডাছড়া সফরের আবেদন করে সাথে মুখ্য সচিব, পুলিশের মহানির্দেশককে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।