বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে গণ্ডাছড়া যেতে দেয়নি পুলিস প্রশাসন। অভিযোগ তাদের মাঝপথ থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী ও বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। পৃথক পৃথক জায়গায় তাদের আটকে দেওয়া হয়। সম্প্রতি এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠে গণ্ডাছড়া। দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে পুড়ে গেছে বহু মানুষের বাড়িঘর-দোকান। এখনও অনেক মানুষ শরণার্থী শিবিরে। বর্তমানে সেখানে মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার গণ্ডাছড়া সফরে যেতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হন বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বাম বিধায়ক দল। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক-মন্ত্রীও। অভিযোগ জেলা শাসককে জানিয়ে অনুমতি নিয়েও যাওয়ার পথে পুলিস আটকে ১৬৩ ধরা লাগু রয়েছে বলে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা পুলিস প্রশাসনকে সব মেনে সেখানে যাওয়ার আশ্বাস দিলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। জিতেন চৌধুরী ক্ষোভ জানান।এদিকে এদিন গণ্ডাছড়া যেতে পারেননি কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ সহ কয়েকজন গণ্ডাছড়া যাচ্ছিলেন জেলা শাসকের অনুমতি নিয়ে। অভিযোগ সকালে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।পথে তাদের পুলিস আটকে দেয়। সুদীপ বর্মণদের জানিয়ে দেওয়া হয় গণ্ডাছড়া যাওয়া যাবে না। এনিয়ে পথেই পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কথা কাটাকাটি হয়। সুদীপ বাবুদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি পুলিস আধিকারিকরা বলে অভিযোগ।পরে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ জানান, তারা যখন রাস্তায় তখন জেলা শাসক তাদের ফোন করে জানান অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। বিধায়ক এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, পুলিস প্রশাসন একবার বলছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আবার বলছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দ্বিমুখী রাজনীতি করা হচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দুই দলের প্রতিনিধিদের কেন সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি তা কারো বোধগম্য হয়নি। প্রশাসনের এমন ভূমিকায় বাম বিধায়ক দল ও কংগ্রেস প্রতিনিধিরা যে অসন্তুষ্ট তা স্পষ্ট হয়েছে এদিন।