বিদ্যুতের ভোগান্তিতে গত তিন দিন ধরে অন্ধকারে আচ্ছন্ন আদালত চত্বর। একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ আইনজীবীদের পথ অবরোধ। ঘটনা রাজধানীর রোনাল্ডসে রোডে ।প্রায় ৪০ মিনিট বাদে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথের আশ্বাসে অবরোধ মুক্ত হয় সড়ক।রাজ্যে গত সোমবার সকাল থেকে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপট শুরু হয়। ঝড়ো হাওয়ার সাথে ভারী বর্ষণে সোমবার থেকেই বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালত চত্বরে ।বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দেয় পানীয় জলের সংকট ।অবস্থা এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছয় যে আদালত চত্বরে বিদ্যুতের অভাবে একটি দরখাস্ত পর্যন্ত করা যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের সংগঠনের সভাপতি এবং সম্পাদক একাধিকবার বিষয়টি বিদ্যুৎ দপ্তরে জানান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে যখন পরিস্থিতির স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তখনো অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে আদালত চত্বর। দুইদিন কাজকর্মস্তব্ধ থাকার পর বুধবার আইনজীবীরা আদালতে জড়ো হন ।কিন্তু এদিনও আদালত চত্বরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার কোন নাম গন্ধ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজধানীর রুরাল্ডসে রোডে পথ অবরোধে শামিল হন। আইনজীবীদের পথ অবরোধের ফলে ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী থেকে বটতলা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে ।এদিন পথ অবরোধ আন্দোলনের শামিল হওয়া এক বরিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত চৌধুরী জানান, বিদ্যুৎহীনতায় গত তিনদিন ধরে আদালত চত্বরে কাজকর্ম লাটে উঠেছে। একই সাথে চলছে পানীয় জলের সংকট। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিষয়টি বিদ্যুৎ দপ্তরে জানানো হয়েছে ।কিন্তু আদালত চত্বরে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখতে দপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরই প্রতিবাদে আইনজীবীরা সবাই মিলে পথ অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে আইনজীবীদের পথ অবরোধ আন্দোলনে নামার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায় ।খবর যায় বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ এর কাছে। তিনি বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সম্পাদকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ।বিদ্যুৎ মন্ত্রীর এই আশ্বাসের ভিত্তিতে প্রায় ৪০ মিনিট বাদে রাজধানীর রোনাল্ডসে রোড অবরোধ মুক্ত হয়।