রাজ্যে এলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। তাকে আগরতলা বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পিসিসি সভাপতি আশীষ কুমার সাহা সহ রাজ্যের নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী জারিতা লাইফলাং। রাজধানীর পুরাতন রাজভবনের সামনে থেকে শুরু হয় রোড শো। ..১৭ এপ্রিল বিকেল পাঁচটায় শেষ হচ্ছে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সরব প্রচার। এই সরব প্রচারের আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ আগরতলা বিমানবন্দর আসেন তিনি। সেখান থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাকে নিয়ে আসা হয় পুরাতন রাজভবনের সামনে। সেখানে রোড শোর জন্য আগে থেকেই তৈরি করা রাখা হয়েছিল প্রচার গাড়ি। সেখানে গাড়িতে একে একে সওয়ার হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, পশ্চিম আসনের ইন্ডিয়া জোট প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা সহ একদল নেতৃবৃন্দ। গাড়িটি সেখান থেকে ধীরে রওনা হয় সারকিট হাউসের দিকে। এর পর সেখান থেকে উত্তর গেট হয়ে পূর্ব নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী শ্রীমতি গান্ধীর প্রচার গাড়ি রাজধানীর বিভিন্ন পদ পরিক্রমা করে। প্রচার গাড়িটি পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকায় গেলে প্রচার গাড়ি থেকে নেমে, নিজের জন্য আনা নির্দিষ্ট গাড়িতে চড়ে বসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। একসময় সেই গাড়ির ছাদের উপর বসে পড়েছিলেন তিনি। মিনিটখানেক ভাষণ দিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদিকা। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন তিনি। আগরতলায় কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আগমন ঘিরে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে।রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশ টিএসআর সিআরপিএফ এমনকি এসপিজি আধিকারিকরাও ছিলেন তার নিরাপত্তার দায়িত্বে।