বহিরাজ্যে অনেক ছাত্রছাত্রীরা এখন ওপেন ইউনিভারসিটিতে পড়াশোনা করে। বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যারা শিক্ষিত হতে চায় তাদের জন্য ওপেন ইউনিভারসিটি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। আজ রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী ওপেন ইউনিভারসিটি, ত্রিপুরা বিল ২০২৪ (দি ত্রিপুরা বিল নং ১৫ অব ২০২৩) উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, আসাম, উড়িশা, বিহারের মতো দেশের অনেক রাজ্যেই ওপেন ইউনিভারসিটিতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছে। ভারতের মতো দেশে এটি নুতন বিষয় নয়। একটি সংস্থা আমাদের রাজ্যে ওপেন ইউনিভারসিটি চালুর প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে। তারা রাজ্যে এই ইউনিভারসিটি চালু করলে এতে শুধু রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা নয় বহির্রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরাও পড়াশোনা করতে পারবে। যারা বিভিন্ন কারণে কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেননা তারা অনলাইনের মাধ্যমেও এই ইউনিভারসিটি থেকে ডিগ্রি নিতে পারবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করার সংস্থানও রয়েছে। এতে ত্রিপুরার ছেলেমেয়েদের সামনে কর্মসংস্থানের একটি সুযোগ এসে যাচ্ছে। ইউজিসি এবং অন্যান্য রেগুলেটরি অথরিটিকে অনুসরণ করে যাতে এই ইউনিভারসিটি পরিচালিত হয় তার সংস্থান বিলটিতে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চস্তরে একটি গভর্নিংবডি থাকবে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ইউজিসি’র সঙ্গে কথা বলে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন বাতিল করার ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে পারবে। পরে ধুনি ভোটে বিলটি গৃহীত হয়। এছাড়াও আজ বিধানসভায় দি ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (ফোর্থ এমেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ (দি ত্রিপুরা বিল নং ১৩ অব ২০২৩) গৃহীত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এই বিলটি উত্থাপন করেন। পরে ধুনি ভোটে এই বিলটি গৃহীত হয়। একই সঙ্গে দি ত্রিপুরা স্টেট গুডস এন্ড সার্ভিসেস টেক্স (সেভেন্থ এমেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ (ত্রিপুরা বিল নং ১৪ অব ২০২৩) আজ রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বিলটি উত্থাপন করেন এবং বিলটি ধুনি ভোটে গৃহীত হয়।