কল্যাণপুর থানার অন্তর্গত হলংমুথাই এডিসি ভিলেজের হাজারী বাড়ী এলাকার দুই সন্তানের জননী জনজাতি গৃহবধূ জেসমিন দেববর্মা(২৭) হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তথা তার স্বামী মিন্টু দেববর্মাকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের তৎপরতায় কল্যাণপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদ প্রেরণের ঠিক প্রাক মুহূর্তে আসামীকে কল্যাণপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার মিন্টু দেববর্মাকে খোয়াই আদালতে সোপার্দ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন গত মঙ্গলবার রাতে কোন একটা সময় মিন্টু দেববর্মা তার স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটা জঙ্গলে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল এবং বুধবার কল্যাণপুর থানার পুলিশ যথেষ্ট তৎপরতার সাথে জেসমিন দেববর্মার দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত মিন্টু দেববর্মাকে জালে তোলার জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। এখন অভিযুক্ত মিন্টু দেববর্মাকে উপযুক্ত জেরা করে সংশ্লিষ্ট ঘটনার পেছনে কি মোটিভ রয়েছে বা এর পেছনে আর কেউ জড়িত কিনা, এই বিষয়গুলো দেখা হতে পারে বলে অনুমান। এদিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে অবগত করতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা দাবি করেছেন গত মঙ্গলবার মিন্টু এবং জেসমিন একসাথেই নিজেদের রাবার বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। একটা সময়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে বচসা তৈরি হলে মিন্টু জেসমিনকে সাবাল দিয়ে আঘাত করে নিজেই মেরে ফেলে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এমনটাই দাবি প্রসুন কান্তি ত্রিপুরার। এরপর মিন্টু নিজেই তার স্ত্রীর দেহ মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছে বলে শ্রী ত্রিপুরার দাবি। যদিও তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছেন এখন পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হবে।