কৃষিমন্ত্রী রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে কৃষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। কৃষকদের কল্যাণে নতুন নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আজ বেলবাড়ি কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে এটি ৪৫তম কৃষি মহকুমা কার্যালয়। আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে কৃষি মহকুমা কার্যালয় চালু করা হবে। সরকার রাজনীতির উর্ধে ওঠে সবার জন্য কাজ করছে। যাতে করে সমাজের অন্তিম ব্যক্তিও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছেন। সেই সাথে রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানেরও সূচনা হয়েছে। যাতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা জনগণ নিতে পারেন। কৃষিমন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, দেশে এখন কৃষির ৪৫ শতাংশ কাজ যন্ত্র দ্বারা সম্পাদিত হয়। আমাদের লক্ষ্য একে ১০০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। তাই কৃষকদের সরকারি ভর্তুকীতে বিভিন্ন কৃষিজ যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে এখন কৃষকদের আয়ও বেড়েছে। অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যের প্রতিটি যোগ্য সুবিধাভোগীর কাছে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়াই হল সরকারের লক্ষ্য। কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার বিভিন্ন পরিল্পনা নিয়েছে। কৃষকদের স্বনির্ভর করতে পারলেই দেশ সমৃদ্ধ হবে। তিনি বলেন, রাজ্যে এখন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে বৎসরে দু’বার ধান ক্রয় করা হচ্ছে। ফলে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। তাছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই, বিধায়ক স্বপ্না দেববর্মা, এমডিসি গণেশ দেববর্মা, কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন বেলবাড়ি বিএসি’র চেয়ারম্যান রোকেন দেববর্মা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ বেলবাড়ি কৃষি মহকুমা তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন ও পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ চারটি পাওয়ারটিলার, তিনটি স্পেয়ার মেশিন, একটি পাম্প সেট ও অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি সুবিধাভোগী কৃষকদের হাতে তুলে দেন।