Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবররাজ্যযথাযথ মর্যাদায় এসইউসিআই কমিউনিস্টের উদ্যোগে পালিত হল মহান নভেম্বর দিবস

যথাযথ মর্যাদায় এসইউসিআই কমিউনিস্টের উদ্যোগে পালিত হল মহান নভেম্বর দিবস

রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব যা নভেম্বর বিপ্লব নামে খ্যাত, এবছর এই বিপ্লবের ১০৬ তম বার্ষিকী। ১৯১৭- সালের ৭ থেকে ১৭ নভেম্বর মহান লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক দল এক রক্তক্ষয়ি সংগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম শ্রমিক শ্রেণির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি এই সদ্যোজাত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রটিকে পিষে মারার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মহান লেনিন ও তাঁর সহযোগী মহান স্ট্যালিনের যোগ্য নেতৃত্বে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সমাজতন্ত্র এগিয়ে চলতে থাকে। ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারী লেনিনের মৃত্যুর পর স্ট্যালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েট রাশিয়া দুই দশকের মধ্যেই শিল্পে, কৃষিতে, শিক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, খেলাধুলায় বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রে পরিণত হয়। রাশিয়ার এই অভুতপূর্ব অগ্রগতি দেখে বিশ্বের বিশিষ্ট মনিষীগণ যথা আইনস্টাইন, রমা রলা, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ উচ্ছসিত প্রশংসা করেন এবং দেশে দেশে সমাজ পরিবর্তনকামী মানুষ কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তুলতে শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ফ্যাসিষ্ট হিটলারের নাৎসী বাহিনী যাহা ছিল অপ্রতিরোধ্য মহান স্ট্যালিনের নেতৃত্ব সোভিয়েট লাল ফৌজ তাকে পরাস্ত করে বিশ্বকে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে রক্ষা করেছিল এবং তারপর থেকে সমাজতন্ত্রের অগ্রগতি ঘটতে থাকে এবং যুদ্ধবিরোধী শান্তিকামী শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক শিবির গড়ে ওঠে। সাথে সাথে পরাধীন দেশগুলিতে স্বাধীনতা আন্দোলন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে। এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) ১০৬-তম নভেম্বর বিপ্লব বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পালন করছে। ৭ নভেম্বর সকালে দলের ত্রিপুরা রাজ্য অফিসে রক্তিম পতাকা উত্তোলনের পর মহান লেনিন ও স্ট্যালিনের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বটতলায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী এবং সম্পাদক অরুন ভৌমিক। বক্তগণ বলেন রাশিয়ার সংশোধনবাদী নেতৃত্ব সাম্রাজ্যবাদীদের সহযোগিতায় ১৯৯১ সালে সমাজতন্ত্রের পতন ঘটায়। তারপর থেকে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অনুপস্থিতিতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। একের পর এক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, পুতুল সরকার বসিয়ে, স্থানীয় যুদ্ধ সৃষ্টি করে বিশ্ব বাজার দখল করছে এবং অস্ত্র বিক্রি করছে। সাম্প্রতিক সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমণ, আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো জোট ইউক্রেনের পাশে দাড়িয়ে এই যুদ্ধকে দির্ঘায়িত করছে। ইজরাইলকে প্রতাক্ষ মদত দিয়ে প্যালেস্টাইনের গাজা ভুখন্ডে হাজার হাজার নীরিহ মানুষকে হত্যা করছে। সমাজতান্ত্রিক শান্তি শিবির থাকলে এসব যুদ্ধ সম্ভব হত না। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের চরম সংকটে দেশে দেশে গরীব সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় পুঁজিবাদের তীব্র শোষন-শাসন থেকে অব্যাহতি পেতে এবং যুদ্ধবিরোধী শক্তিশালী শান্তি আন্দোলন গড়ে তুলতে নভেম্বর বিল্পব থেকে শিক্ষা নিয়ে পুঁজিবাদ বিরোধী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরিপূরক গণআন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

3 × two =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য