মহালয়ার পর থেকেই সারা বছরের ক্লান্তি, হতাশা দুঃখ সব ভুলে উৎসবে গা বসানোর পালা চলছে বাঙ্গালীদের। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জনজোয়ার। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা তিথি অনুযায়ী শনিবার মহাসপ্তমী। আর এই মহাসপ্তমী নবপত্রিকা স্নানে শুরু উৎসবের মেগা আনন্দ পর্ব। দেবী দুর্গার পুজোর পর্ব হিসেবে মহা সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। সকাল বেলায় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নবপত্রিকা স্নান করানোর পর্ব শুরু হয়ে যায় মন্ডপে মন্ডপে। প্রচলিত কথাই যাকে কলা বউ স্নান করানো বলা হয়ে থাকে। মহালয়ার পরে দেবিপক্ষের সূচনা হয়। আর মা দুর্গার আরাধনা শুরু হয় মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন ও কল্পারম্ভ দিয়ে। শাস্ত্র অনুযায়ী মহা সপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে দেবীর পূজা হয় এদিন। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্প মাল্য, চন্দন, ধূপ ও দিপ দিয়ে পূজা করেন তার ভক্তরা। নবপত্রিকা দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। প্রচলিত ভাষায় নব পত্রিকার নাম কলাবউ। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী স্নান করানোর পর নবপত্রিকাকে নতুন শাড়ি পড়ানো হয়। তারপরেই পূজা মন্ডপে নবপত্রিকাকে দেবীর ডানদিকে স্থান দেওয়া হয়।। আর এর মধ্য দিয়েই দূর্গা পূজার মূল অনুষ্ঠানটির প্রথাগত সূচনা। তারপর শাস্ত্র মতে ষোড়শ উপাচারে শুরু হয় সপ্তমী পূজা। এবার পালা মহা অষ্টমী।তিথি অনুযায়ী মহা অষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে রবিবার সকাল ছয়টা দশ মিনিটে ও বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত আটটা ছয় মিনিটে। একইভাবে সোমবার সকাল ছয়টা দশ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। মঙ্গলবার দশমী পূজার শুভ সকাল ৬:৩০ মিনিটে। পূজার সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৯ টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। এরপরেই শুরু হয়ে যাবে প্রতিমা বিসর্জনের পালা।