রাজ্য সরকার সম্প্রতি সরকার অধিগৃহীত বেশ কয়েকটি সংস্থার চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করে। নতুন ঘোষিত তালিকায় এবার চেয়ারম্যান হিসেবে উঠে এলো একাধিক নতুন মুখ। এদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন ঝর্না দেববর্মা। ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। ২০১৮ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হবার পর মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন বর্ণালী গোস্বামী। টানা বেশ কয়েক বছর তিনি এই পদে থাকার পর এবার তার স্থলাভিষিক্ত হলেন শ্রীমতি দেববর্মা। রাজনৈতিকভাবে তার অন্যতম পরিচয় হল তিনি বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রদেশ সভানেত্রী। সভানেত্রী পদে আসীন থেকেই এবার প্রশাসনিকভাবে এলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসাবে। বলা চলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুরস্কার স্বরূপ শ্রীমতি দেববর্মা পেলেন এই পদ। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী গঠিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে গঠিত হয়েছিল রাজ্য মহিলা কমিশন। এই কমিশনের সপ্তম চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রশাসনিকভাবে নাম ঘোষণা হবার পর, বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ঝর্ণা দেববর্মা। এদিন মহিলা কমিশনের কার্যালয়ে বিদায়ী চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। কমিশনের কর্মীরা এদিন তাকে স্বাগত জানান। মহিলা কমিশনের নতুন চেয়ারপার্সনকে এদিন স্বাগত জানান আগরতলা পৌর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত। তবে রাজ্যে যেভাবে মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনা বাড়ছে তাতে কাজটা অনেকটা চ্যালেঞ্জের। বিদায়ী চেয়ারপার্সন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যর্থ বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শ্রীমতি দেববর্মা দায়িত্ব পালনে কতটুকু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন তা সময়ই বলা যাবে। অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে শ্রীমতি দেববর্মা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এই গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, সেই দায়িত্ব যেদিন সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পারব সেদিনই নিজেকে সন্তুষ্ট মনে করব। তবে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হিসেবে রাজ্যের মহিলাদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকাই বিশ্বাস সেই কাজ সাফল্যের সাথেই করা সম্ভব হবে। অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে একথা জানিয়ে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে তাকে নিযুক্তি দেওয়ার জন্য এদিন ফের একবার ধন্যবাদ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে।