মৎস্য রাজ্যের নিতিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে, রবীন্দ্র ভবনে বায়োফ্লক ফিশ ফার্মিং-এর উপর একদিনের রাজ্য-স্তরের কর্মশালার উদ্বোধন করার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে “মুখ্যমন্ত্রী নিবির মৎস্যচাষ প্রকল্প” চালু করেন। রাজ্যের আটটি জেলার সফল বায়োফ্লক মাছ চাষীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং অতিথিদের দ্বারা মাছ চাষে সাফল্যের উপর একটি বই উন্মোচন করা হয়। লাইভ ফিশ ভেন্ডিং সেন্টার/ভ্যানের জন্য একটি চাবিকাঠি একজন মহিলা উপকারভোগীকেও হস্তান্তর করা হয়েছিল। 20 মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাছ চাষের মাধ্যমে অল্প সময়ে বিপুল আয়ের সুযোগ রয়েছে। , বায়োফ্লক সহ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ সঠিক ব্যবস্থাপনায় করা হচ্ছে এবং বায়োফ্লক মাছ চাষের প্রতি আগ্রহও বেড়েছে। গত 4 বছরে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে 25.53 কিলোগ্রাম হয়েছে। মাছ চাষের এলাকা 8.20% বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য আহরণকারী 4.62% বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের উৎপাদন 5.97% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সুবিধা বিতরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, আর্থিক সহায়তার কারণে সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। রাজ্যের সব স্তরে জেলেদের চিহ্নিত করা। রাজ্যের সর্বস্তরের জেলেদের আত্মসম্মান বর্তমানে নিশ্চিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার বায়োফ্লক সহ বিভিন্ন আধুনিক কৌশলের মাধ্যমে মাছ উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে এবং মাছ চাষের স্বাভাবিক পদ্ধতি আগের দিনের অভাব পূরণ করে, মাছ চাষের উপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সময় যখন আদি মাছ চাষীরা বিভিন্ন কারণে উপকারভোগীর সুবিধা পেতে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে কিছু বিধিমালা সরলীকরণ ও সংশোধনের ফলে এখন মাছ চাষিরা সুফল পেতে পারছেন। আসল মাছ চাষিরা এখন ঋণ নিতে পারছে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই এখন আগ্রহের সাথে এই পেশায় নামছেন। মৎস্যমন্ত্রী মেভর কুমার জামাতিয়া বলেন, সদিচ্ছা ও মৎস্য চাষের নতুন পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথকে মসৃণ করে আরও অনেক কিছু করা সম্ভব। সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। মাছ চাষের জন্য রাজ্যে বিভিন্ন জলাশয় তৈরির কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, মৎস্য বিভাগের সচিব টি. কে. দেবনাথ, নাবার্ডের জেনারেল ম্যানেজার এম আর গোপাল।