বয়স যাই হোক, হাড়ের যত্ন নিতে হয় ছোট থেকেই। কারণ অযত্ন করলে যে কোনও বয়সেই সমস্যা হতে হাড় নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর দ্রুত হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। হরমোন লেভেল কমতে থাকা, ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া বা নেশাদ্রব্যের ব্য়বহার, ইত্যাদি নানা কারণে হাড়ের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা হয়। এছাড়া থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, মেনোপজের পর হরমোন সংক্রান্ত কারণে বাড়তে পারে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি। ছেলেদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলেও ক্ষতি হয় হাড়ের স্বাস্থ্যে।
হাড়ের একাধিক সমস্যা এড়াতে গেলে প্রথম থেকেই নজর রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট, নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। আর কী কী করলে ভাল থাকবে হাড়? 1
পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালশিয়ামের জোগান দিতে হবে। প্রয়োজন ভিটামিন ডি তবে একমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তা খেতে হবে।
প্রাকৃতিক জোগান
শুধু সাপ্লিমেন্ট নয়, খাবার থেকেও ভিটামিন ও ক্যালশিয়াম জোগাড় করতে হবে। দুধ-দুই বা দুগ্ধজাত যেকোনও খাদ্য রাখতে হবে ডায়েটে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ ও সয়াবিন উপকারী। ভিটামিন ডি-র জন্য শরীরে সূর্যের আলো পড়া প্রয়োজন।
শরীরচর্চার গুরুত্ব
ব্যায়াম, সাঁতার বা যেকোনও ধরনের শরীরচর্চা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রয়োজনীয়। সম্ভব হলে জিম করা যায়, নয়তো খালি হাতে হালকা শরীরচর্চাও যথেষ্ট উপকারী। প্রশিক্ষকের নির্দেশ নিয়ে করতে হবে ব্যায়াম।
কমুক কফি
হাড়ের যত্ন নিতে গেলে কমাতে হবে কফি খাওয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত কফি শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমায়। প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে ৬ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম নষ্ট হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
নুনে না
খুব বেশি নুনও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায় অতিরিক্ত নুন । বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলেন, হাইপারটেনশনের সঙ্গে হাড়ের ক্ষতির সংযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত নুনের জন্য হওয়া উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যার কারণেও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
দূরে থাক নেশা
তামাক থেকে মদ-যেকোনও নেশাদ্রব্যের অভ্যাসই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। নিকোটিন হাড়ের রিজেনারেশন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। যার ফলে সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাড়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি শোষণ করার ক্ষমতা কমে যায়। নেশা দূরে রাখতে ভাল থাকবে হাড়ের স্বাস্থ্য।
