হোলি হবে কিন্তু রং ব্যবহার হবে না তা তো হবে না। সবসময়ে ভেষজ আবির পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও তার দাম অনেক। ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেকে কিনতে পারেন না ভেষজ আবির। বাজারে সাধারণ যেসব আবির পাওয়া যায়, সেগুলিই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকসময়েই সেই আবির অত্যন্ত নিম্নমানের হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই অ্য়ালার্জি হয়, আশঙ্কা থাকে শ্বাসকষ্টেরও। কী কী ধরনের সমস্যা হয়? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিম্নমানের আবির বা রংয়ে ধাতব পদার্থ থাকে, ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। বিশেষ করে অ্য়াসবেস্টস, মাইকা, সিলিকার মতো পদার্থ থাকে নিম্নমানের আবিরে।যা ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকের ত্বকে সংক্রমণ হয়, অ্য়ালার্জি হয়, আবার অনেকের ত্বকের নানারকম রোগ দেখা যায়। ত্বকে জ্বালা, চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা যায়।
শুধু ত্বক নয়, সমস্যা হয় চোখেও। চোখ জ্বালা, জল পড়া, চোখে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা যায়। কনজাংটিভাইটিসের মতো রোগও হয়ে থাকে। ফলে চোখ বাঁচানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে সবচেয়ে সমস্যা হয় শ্বাসকষ্ট নিয়ে। অনেকের অ্যালার্জি থাকে, তার সঙ্গেই যোগ থাকে অ্যাজমার । নিম্নমানের আবিরে যে রাসায়নিক ব্যবহার হয় তা থেকে ওই ধরনের রোগীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। অ্যালার্জিজনিত শ্বাসকষ্ট অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। গুরুতর শ্বাসকষ্ট হলে যদি সময়মতো চিকিৎসা না শুরু করা হয়, তাহলে তা প্রাণঘাতী হওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।
ফলে যাঁদের অ্যাজমার প্রকোপ রয়েছে তাঁদের আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। শ্বাসকষ্ট শুরুর আগে হাঁচি-কাশি বা গলা খুসখুসের সমস্যা হতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে তা বেড়ে শ্বাসকষ্টে পরিণত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে গোড়া থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। মুখে মাস্ক পরে নিয়ে রং খেললে ভাল হয়। চোখ ঢাকারও ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ। সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।