Monday, November 3, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই পুরাতন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো কালচারাল ছেলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী ও...

খোয়াই পুরাতন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো কালচারাল ছেলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

 বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১লা নভেম্বর……শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় খোয়াই  পুরাতন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল খোয়াই কালচারাল ছেলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহ রায়, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, সমাজসেবক বিনয় দেববর্মা, পুর কাউন্সিলর পীযূষ কান্তি চৌধুরী এবং বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী শ্রীমতি রেখা ভট্টাচার্যী সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খোয়াই শহরের ৩০ জন গুণীজনদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় কালচারাল ছেলের পক্ষ থেকে। এরমধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী, যাত্রাশিল্পী,, আলোক শিল্পী, বাদ্যযন্ত্র শিল্পী, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সহ অন্যান্যরা। উক্ত অনুষ্ঠানে সমস্ত অতিথিরাই বক্তব্য রাখেন। বিশেষভাবে আলোচনা করতে গিয়ে সমাজসেবী বিনয় দেববর্মা সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে তৎকালীন সময়ের খোয়াই শহরের সাংস্কৃতিক চর্চার বিষয়ের ও সুনামের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন একটা সময় খোয়াই শহরে ব্যাপক হরে সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য প্রতিযোগিতা চলতো। তাইতো খোয়াই সহরকে সাংস্কৃতিক চর্চার পিঠস্থান বলা হয় যার জন্য আমরা খোয়াইবাসী গর্ববোধ করি এই নামটির জন্য। আলোচনা করতে গিয়ে বিনয় দেববর্মা বর্মা বলেন আশির দশকে এই ধরনের সাংস্কৃতিক চর্চা করার জন্য বিভিন্ন নাট্য সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা লেগে থাকত। শুধু নাটক চর্চা নয় এর পাশাপাশি ছিল যাত্রাপালা করা হতো ।এখনো অনেক শিল্পী রয়েছেন যারা যাত্রাপালা করে খোয়াই বাসির মন কেড়ে নিয়েছেন আজও। আজও তাদের নাম অনেকের মুখে  মুখে শুনতে পাওয়া যায়। যদিও তাদের মধ্যে অনেকে বেঁচে নেই আবার অনেকেই যারা বেঁচে আছে বার্ধক্য জনিত কারণে তারা সব জায়গায় যেতে পারে না। কিন্তু সাংস্কৃতিক চর্চার আঙিনায় আজও তারা শ্রদ্ধার শ্রেষ্ঠ আসনে বসে আছে। আর সাংস্কৃতিক শহরের খোয়াই বাসিরা ও তাদেরকে সেই আসনে বসিয়ে রেখেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুণীজনদের মধ্যে এই সাংস্কৃতিক চর্চার অনেকেই উপস্থিত ছিল যাদেরকে দেখে তিনি খুবই আপ্লুত। এবং তাদের মধ্যে থেকে অনেকের গান নাটক যাত্রাপালা সেইগুলি দেখেছেন জানা কি ছিল খুবই মনোমুগ্ধকর। পাশাপাশি তিনি এও বলেন একটা সময় ছিল নাটক এবং যাত্রাপালা করতে গেলে তৎকালীন সম মহিলা অভিনেত্রী খুঁজে পাওয়া যেত না, তখন বাধ্য হয় কোন পুরুষকে মহিলা সেজে সেই নাটকের ভূমিকা পালন করতে হয়েছে বা করতে দেখা গেছে। কিন্তু পুরুষ না মহিলা তা দেখে তখন বোঝা যেত না রূপসজ্জা করার কারণে। এত নিখুঁতভাবে একজন পুরুষকে মহিলা বানিয়ে নাটকের মঞ্চে নাটক উপস্থাপনের জন্য তৈরি করা হতো যা ছিল  অভিনব পন্থা। শেষে যদিও সময় কালে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে নাটক এবং যাত্রাপালার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে মহিলারা উৎসাহী হয়ে নাট্য জগতে পা রাখে এবং সফলতার তারা সেই মঞ্চ গুলি করে গেছে। তার মধ্যে এই দিন অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আরেক মহিলা নাট্য শিল্পী শ্রীমতি রেখা ভট্টাচার্যী। তাছাড়া এই দিন অনুষ্ঠানের মঞ্চে গুণীজন  সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কমলারঞ্জন ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব অভিপ্রসাদ চক্রবর্তী, নীলকান্ত সিনহা, বিক্রম সিনহা সহ এমন আরো বিশিষ্ট গুণীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথিরা ৩০ জন গুণীজনদের উত্তরীয় পরিয়ে হাতে মানপত্র দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। সমস্ত গুণীজনরা এই সংবর্ধনা পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। খোয়াই কালচারাল ছেলের উদ্যোগে এই ধরনের গুণীজনদের সংবর্ধনা দেবার জন্য এই সংস্থার সমস্ত কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানান খোয়াই বাসীরা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

thirteen + 13 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য