বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৫ই অক্টোবর……খোয়াই চম্পা হাওয়ার থানাধিন বিদ্যাবিল এলাকার সীমান্তের এক বাড়ি থেকে গরু চুরি করে ফেরার পথে বুধবার সকালে ওই এলাকার এক রাবার বাগানে দিন দুপুরে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের হাতে গণপিটুনি খেয়ে মৃত্যু হল ৩ বাংলাদেশী চোরের । এবং ওই তিন চোরের হাতে ওই এলাকার দুই গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়ে জিবিতে চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ জেলা পুলিশ সুপার রাণাদিত্য দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই চাম্পা হাওড়ার থানাধীন বিদ্যাবিল এলাকার অনন্ত পাড়াতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিন চোর গরু চুরি করার উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় প্রবেশ করে মঙ্গলবার রাতে। কিন্তু সেই রাতে গরু চুরি করে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে পারেনি গরু গুলিকে। শেষে চোরেরা মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার অনন্ত পাড়া এলাকার একটি রাবার বাগানে আত্মগোপন করে থাকে। শেষে বুধবার ভোরবেলা চোরের দল গরু গুলিকে নিয়ে পালাবার পথে অনন্তপাড়ার রাবার বাগানে কর্মরত দুই শ্রমিক মিঠুন তেলেঙ্গা ও গিরেন্দ্র তেলেঙ্গা সেই চোরগুলোকে দেখতে পেয়ে তাদের পেছনে ধাওয়া করে। এরপর একসময় সেই চোরের দল মিঠুন এবং গিরেন্দ্রকে প্রচন্ড মারধর এবং দা দিয়ে কোবদেয় তাতে তারা প্রচন্ড ভাবে আহত হয়ে পড়ে। অবশেষে আহতদের চিৎকার ঘটনা সমস্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে অনন্ত পাড়ার এলাকাবাসীরা ওই এলাকার রাবার বাগানটিকে ঘেরাও করে তিন চোরকে ধাওয়া করে। আত্ম রক্ষার্থে সেই তিন চোর অনন্ত পাড়ার রাবার বাগান এলাকার একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয় । শেষে এলাকাবাসীরা দা লাঠি কুঠার নিয়ে তাদেরকে এলোপাথারি আক্রমণ করে। এরই মধ্যে এক চোর পালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলে এক ধনুর ধারির তীর এসে এক চোরের বুকে বিধে যায় তাতে ঘটনাস্থলে সেই চোরটিও মারা যায়। অন্যদিকে আহত দুজনকে জীবিত পাঠানো হয় বলেও জানা যায়। রোগবুধ বার রাত সাতটা নাগাদ এ বিষয়ে পুলিশ তখনও তদন্ত চালাচ্ছে এবং রাতে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মর্গে নিহত তিন বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা হয়, এবং বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হবে হলে জানায় পুলিশ। তবে সংবাদ লেখা অব্দি নিহত তিন চোরের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।