Tuesday, October 14, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঠিকে দাড়ি সংস্থার গাফিলতিতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন

ঠিকে দাড়ি সংস্থার গাফিলতিতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি
ত্রিপুরার অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা সর্বদা সাধারণ মানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে প্রশাসনিক সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, কিছু ঠিকাদারি সংস্থার গাফিলতির কারণে জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রায়শই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।


এরই একটি জ্বলন্ত উদাহরণ তেলিয়ামুড়া শহরের আম্পি চৌহমনী থেকে মহকুমা হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরেই এ রাস্তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে, যা প্রতিদিনের যাতায়াতের পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেও মারাত্মক অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।সড়কটির সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বহিরাগত ঠিকাদারি সংস্থা NHIDCL-কে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ শুরু না করে অযথা সময়ক্ষেপণ করছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ক্রমশ চরমে উঠেছে।এই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সোমবার ২৮-নং তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় সড়কটি পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পৌর পিতা রূপক সরকার, সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক। পরিদর্শনকালে তারা সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্রুততম সময়ে সংস্কারকাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।বিধায়িকা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি একাধিকবার সংস্থাকে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য অনুরোধ জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অথচ এই ১.৭ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি, কারণ প্রতিদিন জরুরি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহার সঙ্গে কথা বলেছেন। যদি আগামী দিনে সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু না হয়, তবে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন।তেলিয়ামুড়ার এই সড়ক সমস্যাটি আবারও প্রমাণ করছে, সরকারের সদিচ্ছা ও উন্নয়নের প্রচেষ্টা থাকলেও কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন ঠিকাদারি সংস্থার কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের উচিত, এ ধরনের গাফিলতিকে কঠোর হাতে দমন করে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

ten − 2 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য