আসন্ন বর্ষাকালে বন্যার হাত থেকে খোয়াই বাসিকে সুরক্ষা দিতে লালছরা ও খোয়াই দশমি ঘাট এলাকা গুলি পরিদর্শন করেন খোয়াই জেলা শাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩০শে এপ্রিল….আর কয়েক মাস পরে শুরু হবে বর্ষার মরসুম। তাতে করে এই বর্ষাকালীন সময়ে খোয়াই নদীর জল ব্যাপকভাবে ফুলেঁ ফেপে ওঠে। তাতে করে প্রবাহিত খোয়াই নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীর জলে প্লাবিত হয়ে যায়। তেমনি গত ২০২৪ সালের বন্যায় সমস্ত রাজ্যের সাথে খোয়াই মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার ফলে প্লাবিত হয়ে পড়েছিল। তাতে অনেক মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই বছর যাতে এই ধরনের ক্ষয়ক্ষতি অথবা জল প্লাবিত না হয় এবং বিশেষ করে বন্যার কবল থেকে খোয়াই শহরকে রক্ষা করা যায় এর জন্য খোয়াই জেলা শাসকের উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে খোয়াই লাল ছড়া বাঁধ এবং খোয়াই বনকর এলাকার দশমীঘাট এলাকার বাঁধটি সহ বিভিন্ন জল নিকাশি প্যানেলগুলি পরিদর্শন করেন জেলাশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। বুধবার দুপুরে এই পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক রজত পন্থ, মহকুমা শাসক চারু বর্মা, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা। এছাড়া এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তর পানীয় জল বিভাগ, পূর্ত দপ্তর সহ আরো কয়েকটি দপ্তরের আধিকারিকরা । উক্ত বিভিন্ন এলাকাগুলি পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন বন্যায় যাতে খোয়াই শহরের মানুষের কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়, এবং জল নিকাশি ব্যবস্থা যাতে সঠিক থাকে সেই দিক দিয়ে বিচার করে কিভাবে খোয়াই শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করা যায় এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা হাতে নেন জেলাশাসক। পাশাপাশি এই পরিকল্পনা গুলিকে বাস্তবায়িত করতে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। যাতে করে বন্যার আগে সমস্ত সমস্যাগুলি ঠিকঠাক হয়ে যায়। যাতে করে বন্যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কৃষিজাত জমি ও কৃষকদের কোন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি না হয় সেই দিক দিয়ে বিচার করে সমস্ত পরিকল্পনা গুলি অতি দ্রুত সারাই এর জন্য নির্দেশ দেন খোয়াই জেলা শাসক রজত পন্থ।