বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ২৮শে মার্চ…..২৭শে মার্চ দিনটি ছিল বিশ্ব নাট্য দিবস।এই দিবসকে সামনে রেখে ঐদিন সারা বিশ্বে পালিত হল বিশ্ব নাট্য দিবস। এই নাট্য দিবসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটায় খোয়াই মহাকুমার পাঁচটি নাট্য সংস্থা যথা কালচারাল ক্যাম্পেইন , সুভম নাট্যচক্র, নাট্য সংসদ, লৈকন সামাজিক নাট্য সংস্থা ও উত্তরণ নাট্য সংস্থার সমস্ত সদস্য ও সদস্যারা খোয়াই নতুন টাউন হলে জরোহন। এবং বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড নিয়ে এক বর্নাঢ্য রেলি বের করে।এই রেলিটি প্রথমে খোয়াই নতুন টাউন হল থেকে শুরু হয়ে বনকর, নৃপেনচক্রবত্তী এভিনিউ অতিক্রম করে টিকে ডিকে রোড হয়ে সুভাষ পার্কের উপর দিয়ে এসে খোয়াই কোহীনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে রেলিটি শেষ হয়।এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাট্য কর্মীরা বলেন বিশ্বে নাট্য দিবস উপলক্ষে খোয়াই এর পাঁচটি নাট্য সংস্থার কর্মীরা জরো হয়ে এক বর্নাঢ্য রেলিং বের করা হয়। কারণ ২৭ শে মার্চ দিনটি বিশ্বনাট্য দিবস হিসেবে পালিত হয়। এবং সারা বিশ্বে ঐই দিনটিকে পালন করা হচ্ছে। তার সাথে খোয়াই মহাকুমাতে এই প্রথম বিভিন্ন নাট্য সংস্থার সদস্যদের নিয়ে পালতে হল বিশ্বনাট্য দিবস। এই বিষয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন নাট্য কর্মীরা জানান নাটক হলো একটি সমাজের দর্পণ। যার মাধ্যমে সমাজের অনেক কিছুই তুলে ধরা হয় নাটকে। নাটক যেমন সামাজিক জীবনের শিক্ষা দেয় পাশাপাশি সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে নাটকের ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া নাটকের মাধ্যমে মনের মলিনতা দূর হয়, তাছাড়া বিভিন্ন আচার, বিচার ও কুসংস্কার থেকে সমাজকে দূরে রাখতে নাটক একটি দর্পণের ভূমিকায় কাজ করে। তাইতো বিভিন্ন নাট্য কর্মীরা জনগণের মনে এই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সর্বদা নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। শুধু তাই না নাটক সমাজ সোধারক হিসেবে যেমন কাজ করে পাশাপাশি জনগণকে বিনোদনও দান করে। নাটক থেকে সামাজিক জীবনের অনেক সামাজিক শিক্ষা আমরা গ্রহণ করতে পারি যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ধাপে কাজ করে থাকে। তাই একটি সুষ্ঠু সমাজে নিজেকে সুষ্ঠুভাবে তৈরি করতে গেলে নাট্য চর্চা একটি অপরিহার্য অঙ্গ। যার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে সমাজের একজন প্রতিষ্ঠাবান ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি তাইতো নাটকের কোন তুলনা হয় না। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাট্য দিবসকে সামনে রেখে রেলি শেষ হবার পর খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে বিভিন্ন নাট্য সংস্থার কচি কাঁচা শিশুরা দর্শকদের জন্য নাটক পরিবেশন করেন।