বাসুদেব ভট্টাচার্জি খোয়াই ২৭শে ফেব্রুয়ারি…….গত ছয় মাস আগে বন্যার ফলে খোয়াই পুর পরিষদের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ড অর্থাৎ ঘোষপাড়া যাওয়ার পথে খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের পেছনে অবস্থিত পায়ে চলার লোহার ব্রিজটির উত্তর দিকের অংশটি গত বন্যার ফলে ভেঙ্গে পরে। বন্যার ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলও সেই লোহার তরী সেতুটি মেরামতের ক্ষেত্রে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এর ফলে সেই লোহার তৈরি সেতু দিয়ে চলাচল করা খুবই বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোহার তরী সেতুর সংলগ্ন ইটের কংক্রিট বিক্রেতারা ব্রিজটির উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে আসা যাওয়ার জন্য সেতুর উত্তর পাড়ের যে অংশটি ভেঙ্গে গিয়েছিল সেখানে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে । এই সেতুর উপর দিয়ে বিভিন্ন এলাকার লোক সহ বেশ কয়েকটি এলাকার জনগণ এই সেতুটি কে ব্যবহার করে সহজে খোয়াই শহরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য। গত ছয় সাত মাস ধরে সেতুটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে। এলাকার জনগণ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে সুবিধার জন্য এই সেতুটি ব্যবহার করে চলেছে। আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেতুটিকে সারাই করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসী সহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা চাইছে লোহার তৈরি সেতুটি অতিসত্বর সারাই করে দেওয়ার জন্য। কারণ অল্প সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ও স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীরা সহজে খোয়াই শহরে আসা যাওয়া করতে পারে। সামনে বর্ষা আসছে,এই বর্ষার আগে এই লোহার সেতুটি মেরামতের যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সামনের বর্ষার মৌরসুমে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ এবং ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করার ক্ষেত্রে অনেকটাই বিপাকে পড়বে। এমনকি আসছে বর্ষায় ভারী বর্ষণ হলে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট এলাকায় যদি বন্যার জলে প্লাবিত হয় তবে ভগ্নদশায় অবস্থিত এই লোহার সেতুটি বন্যার জলে তলিয়ে যেতে পারে। যদি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ভগ্নদশায় অবস্থিত লোহার সেতুটি মেরামত করতে চায় তাহলে খুব দ্রুত অর্থাৎ বর্ষার আগে সঠিক ভাবে মেরামত করার প্রয়োজন। অন্যদিকে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি লোহার সেতুটি সাড়াই না করে পাকা সেতু বানিয়ে দিলে জিনিসটি মজবুত হবে, পাশাপাশি দীর্ঘ স্থায়ী হবে বলে জানান ছাত্রছাত্রীরা। সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর দাবি রাজ্য সরকার তথা পূর্ত দপ্তরের কাছে অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের এবং ছাত্র-ছাত্রীর কথা ভেবে সেতুটি বর্ষার আগে মেরামতের ক্ষেত্রে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের কথা চিন্তা করে পূর্ত দপ্তর এবং রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।