বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ২৩শে জানুয়ারি…… রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসার মানকে যতই উন্নত করার চেষ্টা করুক না কেন তাতে কোন কাজ হচ্ছে না। রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে সরকার যতটুকুই সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করুক না কেন দেখা যাচ্ছে কিছু কোটার চিকিৎসকরা নিজেদেরকে বড় ধরনের চিকিৎসক ভাবতে গিয়ে রোগীদের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করে দিয়েছে। আর এই ধরনের ঘটনা একের পর এক খোয়াই জেলা হাসপাতালে ঘটে চলেছে। তাতে করে খোয়াই জেলা হাসপাতালটি বর্তমানে অপরাধের আতুর ঘর তৈরি হয়ে রয়েছে। অনুরূপভাবে আবারো খোয়াই জেলা হাসপাতালের এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে মারাত্মক ধরনের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠলো। বর্তমানে মৃত্যুর কোলে অবতীর্ণ খোয়াই থানাধীন তবলা বাড়ি এলাকার গর্ভবতী এক গৃহবধূ অনিমা তাঁতি! ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই তবলা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে গর্ভবতী এক গৃহবধূ অনিমা তাঁতি কে ৫ই ডিসেম্বর চেবরি হাসপাতালে আনা হলে সেখান থেকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। খোয়াই জেলা হাসপাতালে আনার পর স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘ্য মাল্য দেববর্মা গত ৭ই ডিসেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হওয়া সেই যুবতী গৃহবধুর সিজার করতে গিয়ে তার মূত্রনালী কেটে দেয় বলে গুরুতর অভিযোগ করেন স্বামী বিশ্বজিৎ তাঁতি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘ মাল্য দেববর্মার বিরুদ্ধে। এই চিকিৎসকে নিয়মিত দেখাচ্ছিলেন বলে জানান উনার স্বামী। পরবর্তীতে এই ঘটনা প্রকাশ পাবার ভয়ে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অর্ঘ্যমাল্য দেববর্মা সেই যুবতী গৃহবধূকে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে আর কোন কুল কিনারা না পেয়ে চুপি চুপি আগরতলা জি বি হাসপাতালের রেফার করে দেয়। সেখানে যুবতী গৃহবধূর মূত্রনালী কেটে দেওয়ার ফলে পরবর্তীতে উনাকে ডায়ালাইসিস করাতে হয় প্রায় ১৪ দিন পর। এখনো পর্যন্ত পাঁচটি ডায়ালিসিস সম্পন্ন হয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে ওই গৃহবধূটিকে দু তিনজনে মিলে উনাকে ঘর থেকে বের করতে ও দেখা গেছে। গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে সংবাদ মাধ্যমকে জানান বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধু অনিমা তাঁতির স্বামী বিশ্বজিৎ তাঁতি তার নিজ গ্রাম তবলা বাড়িতে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরা সেই যুবতী গৃহবধূর স্বামী আরো জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে ডাক্তার অর্ঘমাল্য দেববর্মার বিরুদ্ধে খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় রাষ্ট্রপতি কালার্স পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ এই বিষয়ে কি ভূমিকা গ্রহণ করে। এখানে উল্লেখ থাকে এর আগেও গাইনোকোলজিস্ট অর্ঘ্যমাল্য দেববর্মার বিরুদ্ধে এইভাবে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। গত প্রায় এক বছর আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল খোয়াই জেলা হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অমূল্য দেববর্মা সিজার করতে গিয়ে কল্যাণপুরের এক যুবতী গৃহবধূকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এই বিষয়টি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য দপ্তর তারি ঘড়ি এখান থেকে বদলি করে দেন অমূল্য দেববর্মা কে। ঠিক একই রকম ভাবে আরেকটি ভুল চিকিৎসার জন্য গৃহবধূ অনিমা তাঁতি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এখন দেখার বিষয় এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর কি ভূমিকা গ্রহণ করেন। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই খোয়াই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর জনগণের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।