বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৯ই সেপ্টেম্বর…….সোমবার সকাল ৯ টা থেকে খোয়াই বেলফাং এলাকায় ২০৮ নং জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে সরকারি বিভিন্ন প্রজেক্ট অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশা কর্মীরা । সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চলেছে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের কোন নাম নেই। এতে করে ২০৮ নং জাতীয় সড়কের উভয় দিকে প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে ঐ সব গাড়িতে থাকা যাত্রীরা প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে অতিবাহিত করতে হয়েছে। অন্যদিকে আশা কর্মী এবং অঙ্গনারী কর্মীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। কিন্তু অবরোধকারীরা পথ অবরোধ তুলতে চাইছে না কোনমতে । আন্দোলনকারীদের বক্তব্য সরকার তাদের জন্য কোন ভাবনা চিন্তা করছে না, প্রতিনিয়ত কাজ বৃদ্ধি করে দিচ্ছে, কিন্তু বেতন কাঠামো বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সরকার বাস্তব সম্মত ভূমিকা গ্রহণ করছে না। সরকারের মাথায় এই চিন্তাটা আসছে না যে আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ব্যাপকভাবে পরিশ্রম করে চলেছে দিনরাত্রি । অথচ সরকার যখনই তাদেরকে ডাকছে তখন তারা সাড়া দিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে দিনরাত্রি।এই কাজ গুলো সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে গিয়ে তারা নিজেদের বাড়ি ঘরের কাজও সঠিকভাবে করতে পারেনা । এছাড়া পরিবার-পরিজনদের সময় দিতে পারছে না এরপরও রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রজেক্ট এর কর্মীদের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না । আন্দোলনকারী যোদ্ধার ভাবে বললেন যেকোনো মূল্যে দুর্গা পুজোর আগে তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে তাদের দ্বিতীয় দাবি তাদেরকে সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে তৃতীয় দাবি তাদের গ্র্যাচুয়েটি প্রদান করতে হবে চতুর্থ দাবি তাদের পেনশন চালু করতে হবে এবং তাদের পঞ্চম দাবি অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতন তাদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এছাড়া বিশেষ করে অঙ্গনারী কর্মীরা পাঁচ, সাত, আট, নয় ,দশ হাজার ক্রমে কম বেতন পেয়ে থাকে এত কাজ করার পরও। কিন্তু অনেক কর্মী আছে যেমন আশা কর্মীরা ২ হাজার টাকা করে ভাতা পায় যা দিয়ে তাদের সংসার কোনভাবেই চলে না । তাই তাদের মূল দাবি দুর্গাপূজার আগে তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে । তবে এই আন্দোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন মহকুমা শাসক মেঘা জৈন তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানান বিষয়টি উচ্চ অধিকারীদের লিখিতভাবে তিনি জানাবেন তাদের পথ অবরোধকারীরা মহকুমা শাসকের এই কথাই রাজি হয়নি । তাদের দাবি তাদের দপ্তরের মন্ত্রী এসে তাদের লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে পুজোর আগে তাদের বেতন বৃদ্ধি করবে এবং অন্যান্য চারটি দাবি পূরণ করা হবে। এই শর্তে রাজি হলেই পথ অবরোধকারীরা তাদের পথ অবরোধ প্রত্যাহার করবে বলে জানায়। অন্যথায় এই অবরোধস্থলে তাদের আরো কর্মী আসছে ।এবং তাদের ৮৮ হাজার কর্মীরা রয়েছে যারা দলে দলে সেই আন্দোলনের শামিল হচ্ছে । তাদের এই দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই আন্দোলন চলবে বলে তারা রাস্তায় ধরনা দিয়ে বসে থাকে। এবার প্রশ্ন হল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের বিভিন্ন দাবি দাবা সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে গিয়ে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন জাতীয় সড়ক। আর এ জাতীয় সড়ক অবরোধ করার ফলে বিভিন্ন দূরপাল্লার থেকে আগত সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের বক্তব্য জনগণ কে দুর্ভোগের ফেলার পেছনে দায়ী সরকার । অবশেষে সমাজ কল্যাণ দপ্তরের হস্তক্ষেপে পথ অবরোধকারীদের দাবি মানা হলে অবশেষে তারা পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে ।