তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
বহু প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে ‘নুন খেয়ে নিমক হারামি’। হঠাৎ কেন এই প্রবাদের উল্লেখ করা হল এবং কারণেই বা প্রতিবেদনটির প্রথম লাইনে প্রবাদটির উল্লেখ করা হলো সেটা গোটা প্রতিবেদন দেখলেই স্পষ্টভাবে বোঝে যাবে প্রতিবেদনে পাঠক মহল থেকে শুভবুদ্ধির সম্পন্ন মহল সকলেই। বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যে ছিল ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার যখন এই ভোট গ্রহণ চলছিল তখন তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত জগন্নাথ বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চালিতাবাড়ি স্কুলের ভোট কেন্দ্র প্রাঙ্গনে রীতিমতো নিজের দলবল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে বিজেপি দলের প্রদেশ সহ-সভাপতি পাতাল কন্যা। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পাতাল কন্যার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যারা সকলেই পাতাল কন্যার অনুগামী তথা পাতালের সঙ্গেই নিজেদের বিজেপি কর্মী হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের দিন জগন্নাথ বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চালিতাবাড়ি স্কুলের স্থানীয় ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এসে নিজের সমর্থক অর্থাৎ নির্দল প্রার্থীদের তোলা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে কর্তব্যরত পুলিশ সহ ভোট কর্মীদের সঙ্গে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে দেয়। বিজেপি দলের প্রদেশ স্থরের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ প্রদেশ সহ-সভাপতি এহেন কার্যকলাপে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র চত্বরে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে এটা বাস্তব ঘটনা, যেভাবে, যে ভঙ্গিমায় পাতাল কন্যা বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের দিন জগন্নাথ বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে রীতিমতো বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলক আচরণ সংগঠিত করেছে, তা অন্তত বিজেপি দলের একজন নেতা বা নেতৃত্বকে মানায় না।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে যে, পাতাল কন্যাকে নিয়ে কেন নীরব বিজেপি? দিনের পর দিন দলীয় হাই কমান্ডের বিরুদ্ধে গিয়ে এবং দলীয় নীতির নির্দেশিকাকে জলাঞ্জলি দিতে থাকলেও পাতাল কন্যার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না? কেন নিজেদের ক্যাডার ভিত্তিক সুশৃংখল দল বলে পরিচিত করা বিজেপির প্রদেশ কমিটি পাতাল কন্যার উপর এতটাই দুর্বল? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।।