সকালে স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে খোয়াই ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের মর্নিং সেকশনের ক্লাস থ্রির এক ছাত্রীর জিবি হাসপাতালে মৃত্যু।

বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ২৪শে জুলাই……..আবার সংবাদের শিরোনামে খোয়াই ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়টি।একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে বিদ্যালয়টিতে।রাহুর দশা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এই বিদ্যালয়টিকে।তেমনি এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটলো মঙ্গলবার স্কুলটিতে।মঙ্গলবার খোয়াই ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের মর্নিং সেকশনের ক্লাস থ্রির নয় বছরের এক ছাত্রী সারিকা দেববর্মা স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পরে।শেষে রাতে জিবি হাসপাতালে সেই ছাত্রটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে বুধবার সকালে খোয়াই মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।ঘটনার বিবরণ দিয়ে এই স্কুলের মর্নিং বিভাগের শিক্ষকরা জানান মঙ্গলবার স্কুলটিতে অবজারভার হিসেবে এসেছিল প্রদীপ নাথ তিনি শুধু ক্লাস থ্রির ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে একটি সার্ভে করবেন। সেই অনুযায়ী ক্লাস থ্রির সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের একটি শ্রেণি কক্ষে বসিয়ে দেন এবং রোল নাম্বার হিসেবে একে একে ডেকে তাদের সাথে কথা বলবেন তেমনি সময় ওই শ্রেণি কক্ষে বসা ক্লাস থ্রির ছাত্রী সারিকা দেববর্মা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ব্র্যাঞ্চের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে থাকে তখন তার পাশে থাকা সহপাঠী আলিয়া দেববর্মা সরিকা দেববর্মাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তখন সে বলে তার মাথা ব্যাথা করছে তারপর আলিয়া দেববর্মা সারিকা একটু জল খেতে দেয় তারপর সে একটু বমি করে ।তা দেখে সাথে সাথে আলিয়া দেববর্মা পাশের রুমের এক শিক্ষককে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে শিক্ষক দ্রুত চলে আসে এবং সারিকাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তখন সারিকা বলে তার শরীর খারাপ লাগছে তখন সাথে সাথে স্কুল শিক্ষকরা দৌড়ে গিয়ে একটি টমটম এনে অসুস্থ ছাত্রী সারিকা দেববর্মাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে ।অন্যদিকে স্কুলের পক্ষ থেকে সারিকার বাবা সজল দেববর্মা কে ২০ থেকে ২৫ বার ফোন করার পর ফোন ধরলে তখন সজল দেববর্মাকে উনার মেয়ের ঘটনাটি জানান স্কুলের শিক্ষকরা সেই খবর পেয়ে ছাত্রীর পিতা হাসপাতালে চলে আসেন এরপর স্কুলের শিক্ষকরা ও চলে আসে স্কুল এবং শিক্ষকরা ছাত্রীর পিতা কে বলে আসে কোন অসুবিধা হলে যেন শিক্ষকদের জানানো হয় ।অন্যদিকে তখন ছাত্রীটি খোয়াই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তদারকিতে ভর্তি করে রাখা হয় স্যালাইন দিয়ে।তারপর ছাত্রীটির কি হয়েছে ঘটনাটি জানতে ছাত্রীর পিতা সজল দেববর্মাকে স্কুলের শিক্ষকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোন করেন এবং ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থা জানতে চান সে কেমন ।তখন ছাত্রীর পিতা সজল দেববর্মা শিক্ষকদের জানান উনার মেয়ে সাগরিকা দেববর্মাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করেছে এবং সে বর্তমানে জিবি হাসপাতালের আই সি ইউ তে ভর্তি রয়েছে এই কথা শুনে যেন স্কুলের শিক্ষকদের মাথায় বাজ পড়ে।তখন শিক্ষকরা জানতে চাইল সজল দেববর্মার কাছে ঘটনাটি কি হয়েছে তখন সজল দেববর্ম কিছু বলতে পারিনি ।তখন সজল দেববর্মা শিক্ষকদের বলেন স্কুলে কি কোন কিছু হয়েছিল কিনা সেই ছাত্রীর সাথে তখন স্কুল শিক্ষকরা বলে কেমন কোনো ঘটনাত ঘটেনি।এরপর স্কুল শিক্ষকরা বুধবার সকালে ঐ ক্লাসের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করে তার সাথে কি হয়েছিল তখন সবাই বলেছে ওর সাথে তেমন কিছু হয়নি সে অসুস্থ তা বোধ করছিল ।তখন স্কুলের শিক্ষকরা সাগরিকা দেববর্মার সহপাঠী আলিয়া দেববর্মার কাছে জিজ্ঞেস করে ওর সাথে কি কোন ঘটনা ঘটেছিল কিনা তখন আলিয়া দেববর্মা বলে ওর সাথে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি হঠাৎ করেই সে অসুস্থ হয়ে যায় ।শেষ মঙ্গলবার গভীর রাতে শিক্ষকরা খবর পান সাগরিকা দেববর্মা মারা যান এই ঘটনা শুনে স্কুলের শিক্ষকদের মাথায় বাজ পড়ে।এমন কি হয়েছিল যে ছাত্রটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে জিবিতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করে।অন্যদিকে একটি সূত্রে জানা যায় বুধবার দুপুরে মৃত সাগরিকা দেববর্মার ময়নাতদন্ত করা হবে হয়তো এরপরেই বুঝা যাবে তার আসল মৃত্যুর কারণ কি।স্কুল কর্তৃপক্ষরা জানান সাগরিকা দেববর্মা ওরা স্থানীয় নয় ।ওর বাবা সজল দেববর্মা খোয়াই এর কোন অফিসে গ্রুপ ডির কর্মচারী ধারণা করা হচ্ছে ওদের বাড়ি কামাল ঘাট এলাকার শিব দুর্গা কোবরা পাড়ায় কর্মসূত্রে ওরা এখানে থাকছে।খোয়াই ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ক্লাস থ্রির ছাত্রী সাগরিকা দেববর্মার অকাল প্রয়াণ তার ক্লাসের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা সহ স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।