খোয়াই প্রতিনিধি ২১শে জুলাই….. রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থার যতই পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হোন না কেন বাস্তবে করুণ দশাটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে বারবার করে। সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন যদি আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষিকাগণ মনে প্রাণে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি লক্ষ্য না দেন ঠিকমতো ক্লাসে না যান তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বর্তমান সমাজে সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকাদের কে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত একাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা বিদ্যা ব্যবসা তথা টিউশন বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। দ্বিতীয়ত সংখ্যায় খুব কম হলেও একাংশের শিক্ষকরা চায় তাদের শিক্ষার কিছুটা অংশ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিলিয়ে দিতে কেননা তাদের মধ্যে এই ভাবনাটা আছে যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কিছু একটা দেওয়ার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে শিক্ষক দেরকে প্রতিমাসে মাইনে বা বেতন দিয়ে থাকেন সরকার। তৃতীয়ত আরেকটা অংশ সময় মত স্কুলে যাওয়ারও প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না। যদিও যায় তবে অনেক কষ্ট করে স্কুলে গিয়ে পৌঁছবার পর কোন রকম ভাবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন তারপরই দেখা যায় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খোয়াই শহর লাগুয়া অজগরটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের একজন দিদিমনি অনেক কষ্টে স্কুলে পৌঁছে গ্রুপ ডির কর্মী অথবা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে হাজিরা খাতাটা আনিয়ে স্বাক্ষর করেন এবং মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চেয়ারের উপর পা তুলে। ক্লাসের টাইম হলেও তিনি যাবো যাচ্ছি বলে সময় কাটিয়ে দেন। সারাক্ষণ তিনি একই চেয়ারে বসে থাকেন আরেক চেয়ারে পা তুলে রেখে মোবাইলে কথা বলেন। এই হল দিদিমনির কালচার। বিদ্যালয়ের ইনচার্জ ক্লাসে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলেও ইনচার্জকে কোন প্রকার পাত্তাই দেন না সেই দিদিমনি।স্কুল কর্তৃপক্ষের এইসব কারণেই ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি স্কুল ছেড়ে বর্তমানে বেসরকারি স্কুলের দিকে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে।অন্যদিকে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত ওইসব শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। অন্যথায় একটা সময় আসবে সরকারি স্কুল গুলি ওইসব শিক্ষক শিক্ষিকাদের কারণে বন্ধ হয়ে যাবে।