তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ–
রহস্যজনকভাবে এক বন কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে সাত সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য। উক্ত ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে তেলিয়ামুড়া থানাধীন অসম আগরতলা জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী পুলিনপুর এলাকায়। মৃত বনকর্মীর নাম কিঙ্কর দেবনাথ , তিনি বিট অফিসার হিসেবে চম্পকনগরের সাধুপাড়াতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার তদন্তে পুলিশ নেমে পড়লেও গোটা বিষয় নিয়ে চাঞ্চল্য এবং রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এদিকে মৃত বনকর্মীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে,, বৃহস্পতিবার রাত্রি আনুমানিক দশটা বা সাড়ে দশটার কিছু পরে কোন এক পরিচিত ব্যাক্তি বিট অফিসার কিঙ্করকে ফোন যোগে নিজ বাড়ি থেকেই ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে কিঙ্করের সাথে বাড়ির কেউ আর যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। যদিও এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হচ্ছে,,, যখন দু’একবার কিঙ্কর বাবুর মোবাইলে ফোনের সংযোগ হয়েছিল তখন অপরিচিত কেউ কথা বললেও কিঙ্করের সাথে বাড়ির কেউ কথা বলতে পারেনি।
এরপর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে শুরু করে সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান মিলেনি। অবশেষে শুক্রবার ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথে পুলিনপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বন কর্মী কিঙ্কর দেবনাথের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মুহূর্তের মধ্যেই খবর পৌঁছে যায় তেলিয়ামুড়া থানায় এবং পুলিশ সহ কিছুক্ষণ পর ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল ছুটে আসে, ছুটে আসে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে জেলা পুলিশ আধিকারিক। পুলিশের দাবি ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে পরিবারের লোকজনদের স্পষ্ট অভিযোগ হচ্ছে, ,,এটা পরিকল্পিত খুন বা হত্যাকাণ্ড। এভাবে প্রায় প্রকাশ্যে একজন বনকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা সার্বিকভাবে নিরাপত্তা ব্যাবস্থার দিকে আঙ্গুল তুলছে। এখন দেখার বিষয় আদতে এই হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়, নাকি লাল ফিতার বাঁধনে আটকে যায় গোটা ঘটনা। এদিকে এই মৃত্যুর ব্যাপারে নানা জন নানা অভিমত প্রকাশ করছেন, যদিও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত খবর, রাজধানীর এক প্রোমোটারের সঙ্গে কিঙ্করের দীর্ঘদিন ধরেই কোন একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তবে আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে কিঙ্করের সাথে থাকা মোবাইল আপাতত বেপাত্তা, মোবাইলের উদ্ধার সম্ভব হলে পরে গোটা ঘটনার রহস্য অনেকটাই উন্মোচিত হতে পারে বলে অনুমান।