বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২রা জুলাই…..গত কয়েক দিন আগে ১৬১ তম হুল দিবস উপলক্ষ্যে গত ৩০ জুন আদিবাসীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বীর সিধু ও কানুর বীরত্বকে কুর্নিশ জানালেও খোয়াইতে অপাংক্তেয় রয়েগেল স্বাধীনতা সংগ্রামের আত্ম বলিদান কারী দুই শহীদের । গত ৩০ জুন দিনটি ছিল আদিবাসীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভারতীয় আদিবাসী ভাই ও বোনেরা এই দিনটিকে হুল দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনটি বীর সিধু এবং কানু’র অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে জড়িত, যারা দৃঢ়ভাবে ইংরেজ শাসকদের অত্যাচারের প্রচন্ড বিরোধিতা করেছিলেন। ‘বীর সিধু এবং কানু সহ হাজার হাজার সাঁওতালি সাথীদের একত্রিত করে সর্বশক্তি দিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এবং এটি ঘটেছিল ১৮৫৫ সালে, অর্থাৎ ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের দুই বছর পূর্বে, তখন ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় জনজাতিরা ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। ইংরেজরা সাঁওতালিদের ওপর প্রভূত অত্যাচার করেছিল পাশাপাশি তাদের ওপর বহু নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল। এই লড়াইতে অবিস্মরণীয় বীরত্ব প্রদর্শন করে বীর সিধু ও কানু শহীদ হয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ডের এই অমর ভূমিপুত্রদের আত্মবলিদান এখনও দেশবাসীকে প্রেরণা ও মনে সাহস যোগায় আজও। আগে খোয়াইতে তথা সারা রাজ্যে তথ্য পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে এই দিনটি সরকারী ও বেসরকারী ভাবে উদযাপিত হতো । কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই বছর সরকারী অথবা বেসরকারী উদ্যোগে এই দিনটিকে স্মরণ করা হয়নি যা ছিল দুই শহীদদের প্রতি অবমাননা।