Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদপানীয় জলের সংকট ৪৫ মাইল এলাকায়

পানীয় জলের সংকট ৪৫ মাইল এলাকায়

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ
দাবদাহ গরমে প্রাণ যখন উষ্ঠাগত, তাপমাত্রার পারদ ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ছুঁই ছুঁই এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পানীয় জলের চরম সঙ্কট আদি যুগ থেকেই বংশপরম্পরা অভিশাপের মতো।
খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের একটি প্রত্যন্ত এলাকা আঠারোমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত আঠারোমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজের ৪৫ মাইল। এই এলাকায় ১৫০ থেকে ১৭০ টি জনজাতি পরিবারের বসবাস। এই পরিবার গুলিতেই পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রত্যন্ত একটি এলাকা হওয়ায় প্রশাসনেরও কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ গিরিবাসীদের।
তাছাড়া কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার রাজ্যের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে পানীয় জলের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করলেও ব্যাতিক্রম এই আঠারোমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজের ৪৫ মাইল এলাকাটি। ফলে প্রচণ্ড গরমে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষজন।
সহজ সরল গিরিবাসীদের অভিযোগ,, বারবার স্থানীয় এ.ডি.সি ভিলেজ থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর ও স্থানীয় শাসক দলের নেতাদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বলে রাখা প্রয়োজন, মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের আঠারোমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজের ৪৫ মাইল এলাকাটি ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত,এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
এইরকম এক অসহ্যকর পরিস্থিতিতে পানীয় জল না থাকায় সমস্যায় পড়েছে সহজ সরল গিরিবাসীরা। দূর দূরান্ত থেকে গ্রামের গৃহবধূর সহ বাড়ির কচিকাঁচা শিশু থেকে প্রৌঢ়রা জল সংগ্রহ করছে চড়াই উতরাই পাহাড় পেরিয়ে। এমন কি তীব্র দাবদাহের ফলে ছড়ার জলও শুকিয়ে চৌচির। অনেক দূর থেকে ঝর্নার জল এনে গ্রামবাসীদের ব্যাবহার করতে হচ্ছে। বারবার আঠারোমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজে পানীয় জলের সঙ্কটের সমাধানে কথা বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ ।যার ফলে বারবার স্থানীয়রা এ.ডি.সি ভিলেজের উপর নির্ভর করতে পারছে না। আর এভাবেই বছরের পর বছর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এলাকায় চাপা গুঞ্জন,, বর্তমান রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা যখন মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং এলাকার বিধায়ক ছিলেন অতুল দেববর্মা ওই সময় কালে ৪৫ মাইল এলাকায় বাম আমলের তৈরি করা একটি জলের উৎস মেরামতের নামে আনুমানিক প্রায় ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা চুনোপুঁটি থেকে রাঘব বোয়ালেরা গিলে খেয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে এই গিরিবাসীদের ভাগ্য সেই একই তিমিরে। গিরিবাসীদের অভিমত,, ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোট পাখিদের মিথ্যা গাল ভরা প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও ভোট পর্ব সাঙ্গ হতেই সেই সকল ভোট পাখিদের আর অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে গিরিবাসীদের ভাগ্য বাম আমলের যেমনটা ছিল রাম আমলে’ও বর্তমান।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

eighteen − 2 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য