তেলিয়ামুরা হাতি
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ—
তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে বন্য হাতির আক্রমণ নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে আশ্চর্যের হলেও সত্যি যখনই কোন না কোন প্রকারের ঘটনা সংঘটিত হয় তখন বিভিন্ন প্রকারের আধিকারিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী এমনকি প্রশাসনিক ব্যাক্তিত্ব’রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রকারের ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে থাকেন। তবে আদতে এই প্রকারের আশ্বাস গুলো যে কতটা অন্তসার শূন্য তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে তেলিয়ামুড়ার কৃষ্ণপুর বিধানসভার অন্তর্গত কপালি টিলা এলাকায়।
অভিযোগ,, শনিবার রাতে বন্য দাঁতাল হাতির আক্রমণে কপালি টিলা এলাকার অমল চৌধুরীর গবাদিপশুর মৃত্যুর মুখে পতিত হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার সাধারণ মানুষদের অভিমত হচ্ছে,, তারা কিভাবে বাঁচবেন যেভাবে প্রতিনিয়ত হাতির আক্রমণে তাদের কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে মাঝে মধ্যে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে, গবাদি পশুর উপরও আক্রমণ সংঘটিত হচ্ছে, তারা আদতে কিভাবে বাঁচবেন প্রশ্ন এলাকা জুড়ে! স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ হচ্ছে,, এলাকাবাসীরা বন্য হাতির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ,সমস্যার মধ্যে তাদের জীবন-জীবিকা, অথচ এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা উদাসীন। এলাকাবাসীরা সম্মিলিতভাবে আরও জানিয়েছেন,, বিভিন্ন সময় নানান ভাবে বন্য হাতির আক্রমণ সংঘটিত ঘটনাগুলো মন্ত্রীর গোচরে নিয়ে যাওয়া হলেও মন্ত্রী কপালি টিলা এলাকায় পা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা পর্যন্ত অনুভব করেন না।
এটা ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে যখন এই এলাকাতেই হাতির আক্রমণে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছিল তখন মন্ত্রি স্ব-গর্বে ঘোষণা করেছিলেন খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, পাশাপাশি বন দপ্তর প্রতিনিয়ত দাবি করে থাকে, বিভিন্ন প্রকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, কিন্তু আদতে সাধারণ মানুষ বন্যহাতির যন্ত্রণায় দিশেহারা।
এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সমস্বরে দাবী উঠছে অনেক প্রতিশ্রুতি হয়েছে ,অনেক আশ্বাস হয়েছে ,এবার প্রকৃত অর্থে বলিষ্ঠ ব্যাবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে বন্যহাতির সমস্যা সমাধানের রাস্তা বেরিয়ে আসুক।