তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
বিগত কিছুদিন ধরেই তেলিয়ামুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতেগোনা কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ এ বিষয়ে সফলতা অর্জন করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর চোখে ধূলো দিয়ে গোটা রাজ্যেই অবৈধ অনুপ্রবেশ কারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার রাতেও তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ গোপন খবরের উপর তল্লাশি চালিয়ে ১২ জন’কে বাংলাদেশী সন্দেহে তাদের সহযোগীদের জালে তুলতে সক্ষম হয়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের নিকট খবর আসে তেলিয়ামুড়া শহরের উপকণ্ঠে পৃথক পৃথক দুই বাড়িতে বেশ কিছু বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এই খবরের উপর ভিত্তি করে বিশেষ অভিযান সংঘটিত করে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ দুটি পৃথক পৃথক দল তৈরী করে পৃথক পৃথক দুই স্থানে বিশেষ অভিযান চালায়। যার একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্সপেক্টর নন্দন বৈদ্য এবং অপর দলটির নেতৃত্ব দেন সাব-ইন্সপেক্টর বিদ্যা লক্ষ্মী দেববর্মা ও দিব্যজ্যোতি মজুমদার। পুলিশ সন্দেহভাজন ১২ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তবে উক্ত বিষয় নিয়ে পুলিশের বক্তব্য,, দীর্ঘদিন ধরেই তেলিয়ামুড়া’তে একটা অংশের ভিন্ন রাজ্যের মানুষ এবং বাংলাদেশীরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী ফেরি করে বেরাচ্ছে। কিন্তু শনিবার যে ১২ জন’কে আটক করেছে পুলিশের অনুমান তাদের মধ্যে বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছে। তবে এই ঘটনায় পর্দার আড়ালে বেশ কিছু রাঘববোয়াল এক্ষেত্রে জড়িত বলে পুলিশ বলিষ্ঠ ভাবেই দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আটক হওয়া লোকদের মধ্যে থেকে ১৭ বছর বয়সী মাফুজ মুল্লা, ১৮ বছর বয়সী মহাসীর মুন্সী এবং ৪৯ বছর বয়সী রামপ্রসাদ বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমের নিকট প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন,,তারা তিনজনই বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা, ভারত-বাংলা ত্রিপুরার বিভিন্ন সীমান্ত ব্যাবহার করে অবৈধ উপায় অবলম্বন করে ত্রিপুরা রাজ্যে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অনুপ্রবেশ করেছে।
তবে এভাবে একসাথে সন্দেহজনক বারো জন নাগরিকের আটক হওয়ার বিষয়ে গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় পুলিশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে! যদিও তেলিয়ামুড়া থানার সেকেন্ড অফিসার নন্দন বৈদ্যের বক্তব্য,,উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত যে সমস্ত বিধান রয়েছে সেগুলি অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।।