খোয়াই প্রতিনিধি …..একটা সময় ছিল রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের আমলে প্রায় সময় শোনা যেত যে ত্রিপুরা রাজ্যে স্বর্ণযুগ চলছে যা নিয়ে জনগণ ব্যাপক হাসি তামাশা করেছিল।আর বর্তমান সময়ে ২০১৮ সালের পর থেকে গত সাড়ে পাঁচ বছরে রাজ্যে বিজেপির রাজত্বে বিজেপি সরকার সেই বাম কায়দায় প্রচার করে চলেছে রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে বিজেপি সরকারের আমলে আর এই উন্নয়নের জোয়ার প্রচারের ঠেলায় বিশেষ করে খোয়াই মহকুমা বাসির প্রাণ ওষ্ঠাগত বিভিন্ন রাস্তা ধরে চলতে গিয়ে।আর তাতে করে খোয়াই বাসি ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে।এর কারণ বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোপূজা আর মাত্র বাকি ১০ থেকে ১২ দিন, চারিদিকে এই উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা বাঙালিরা তাদের প্রধান উৎসব দুর্গোপূজাকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে খোয়াই মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় পরিণত হয়ে রয়েছে। পূর্ত দপ্তরের সেই বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা যে নেই তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। যদিও কিছু কিছু এলাকার রাস্তাতে বিটুমিন দিয়ে লেপ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পূর্ত দফতরের বাস্তুকাররা। খোয়াই মহকুমা এলাকার বিভিন্ন অলি গলি এবং ছোট ছোট পূর্ত দফতরের অন্তর্গত রাস্তা গুলো বাদ দিয়ে শুধুমাত্র খোয়াই এর পূর্ত দফতরের অধীন বড় বড় সড়ক গুলির মধ্যে খোয়াই শিঙ্গি ছড়া ও দুর্গানগর রাস্তা, জাম্বুরা থেকে তুলা শিখর যাওয়ার রাস্তা খোয়াই প্রহর মুড়া এলাকার রাস্তা খোয়ার সুভাষ পার্ক কালিবাড়ি রোডের অবস্থা তো খুবই খারাপ ।অর্থাৎ খোয়াই মহকুমা এলাকার পূর্ত দপ্তরের ছোট ছোট রাস্তাগুলি বাদ দিয়ে বেশ কয়েকটি পূর্ত দপ্তরের বড় রাস্তার যে বেহাল দশা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক মুহূর্তে তাতে সাধারণ জনগণ কিভাবে চলাফেরা করবে সেই বিষয়টি নিয়ে খোয়াইয়ের জনগণ সহ বিভিন্ন ক্লাব গুলি ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অন্যদিকে গত কিছুদিন আগে মহকুমা শাসক শারদীয়া দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সব কয়টি পুজো কমিটির কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে পূজা কমিটি গুলিকে পূজা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ২৩ টি বিধি নিষেধ ধার্য করে দিয়েছেন। যদিও সেই বৈঠকে বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তারা মহকুমা প্রশাসনের সামনে প্রশাসনের প্রদত্ত বিধি নিষেধ গুলিকে মান্যতা দিয়ে জোরালো দাবি করা হয়েছিল শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক মুহূর্তে সড়ক গুলিকে জনগণের জন্য চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু শারদীয়া দুর্গোৎসব আর মাত্র দশ দিন বাকি এখন পর্যন্ত পূর্ত দফতরের অধীন বড় বড় সড়ক গুলি সঠিকভাবে মেরামত এখনো করা হয়নি।অন্যদিকে খোয়াই এর সাধারণ জনগণ দাবি তুলছে খোয়াই শহরের বিভিন্ন অলিগলি রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা তাদের সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে কয়েক দিন টমটম দিয়ে যাতায়াত করা উচিত তাহলেই তারা বুঝতে পারবে খোয়াই মহাকুমার বিভিন্ন রাস্তা ঘাট ও গলি গুলির কি অবস্থা।অন্যদিকে যদিও বরুণ দেবতা কিছুটা বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে। তারপরও খোয়াই এর আপামর জনগণ অনেকটাই আশাবাদী শারদীয় দুর্গোৎসবের আগ মুহূর্তে খোয়াই এর ছোট বড় সড়ক গুলিকে পূর্ত দপ্তর অনেকটাই সারাই করবে । এখন দেখার বিষয় শারদীয় দুর্গোৎসবের আগ মুহূর্তে পূর্ত দফতরের বাস্তুকারদের কুম্ভনিদ্রা ভগ্ন হবে কি এই প্রশ্নটাই থেকে যাচ্ছে।