Sunday, September 8, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদ২০৮ নং জাতি সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার মালবাহি গাড়ি ট্রাক্টর দিয়ে কাজের স্থানে...

২০৮ নং জাতি সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার মালবাহি গাড়ি ট্রাক্টর দিয়ে কাজের স্থানে শ্রমিক নিয়ে যাবার পথে পদ্মবিল এলাকাতে সেই ট্রাক্টর উল্টে আহত ২১ জন,জিবিতে রেফার ৭ জন।

খোয়াই প্রতিনিধি ২৯ শে সেপ্টেম্বর…শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ খোয়াই ২০৮ নং জাতীয় সড়ক নির্মাণের শ্রমিক বোঝাই ট্রাক্টর গাড়ি উল্টে গুরুতর ভাবে আহত হয় ২১ জন শ্রমিক। ঘটনার বিবরণে জানা যায় শুক্রবার সকালে জাতীয় সড়ক নির্মাণ কাজের বরাত পাওয়া কোম্পানি গুলি সড়ক নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের তাদের ব্যবহৃত মাল বাহি গাড়ি গুলি দিয়ে সর্বদাই কাজের স্থানে আসা-যাওয়া করাতে বাধ্য করেন শ্রমিকদের। প্রায়ই সময় লক্ষ্য করা যায় জাতিয় সড়ক নির্মাণ কাজের বরাত পাওয়া কোম্পানি গুলি শ্রমিকদের সংস্থার মাল বাহি গাড়ি গুলি দিয়ে গরু ছাগলের মত বহন করে নিয়ে যায়, ঠিক তেমনি ভাবে শুক্রবার বেশ কয়েক জন শ্রমিকদেরকে মাল বাহি ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল কাজের স্থানে ।কিন্তু ট্রাক্টরটি পদ্মবিল এলাকাতে আসতেই মাল বাহির ট্রাক্টার গাড়িটি উল্টে ২১ জন শ্রমিক গুরুতর ভাবে আহত হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিক শ্রমিক আসাম রাজ্যের ।দুর্ঘটনায় আহত ২১ জন শ্রমিকের মধ্যে সাত জন শ্রমিক এর অবস্থা গুরুতর হওয়াতে খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসকরা জন্য তরি ঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা করে আগরতলা জিবি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আহত শ্রমিকদের ম্যানেজারের নাম চিন্তন দেব, শ্রমিকদের গরু ছাগলের মত গাড়ি বোঝাই করে আসা-যাওয়া করার বিষয়ে এবং আরো বিস্তারিত জানতে উনাকে ফোন করলে ম্যানেজারের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থা যে যে কোম্পানি গুলোকে কাজের বরাত দিয়েছেন তাদের শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সেই রকম কোন ভূমিকা যে নেই তা এই দুর্ঘটনা থেকে বোঝা যায় এছাড়া শ্রমিকরাএত বড় দুর্ঘটনার পরও নির্মাণ সংস্থার কোন আধিকারিক বা কর্মকর্তারা তাদের কোনো খোঁজ খবর পর্যন্ত নেইনি বিকাল অব্দি । এর থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জাতীয় সড়ক নির্মাণ কাজে নাবালক শ্রমিক দেরকে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিকের অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়েছে যে খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী সহ ডাক্তার ও সেবিকাদের অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। যারা বেশি গুরুত্ব আহত হয়ে জিবি হাসপাতালে গেছেন এরা হলেন রাজেশ ত্রিপুরা বয়স ৩১ , আমিনুর আলী বয়স ৫১, রাজেশ চাকমা বয়স ১৯, ইয়েস আলি বয়স ৩৬, মতিকুল আলী বয়স ৩৪, সজল চাকমা বয়স ৪২, শিবু মালাকার। এছাড়া বাকি ১৪জনকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে আবার এর মধ্যে অনেক কে প্রথমিক চিকিৎসার পরছেড়ে দেওয়া হয়।এই দুর্ঘটনার জন্য খোয়াইয়ের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ কোম্পানির ম্যানেজার চিন্তন দেব কে দায়ী করছেন। খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পূর্ণ জনগণ এর প্রশ্ন নিরীহ শ্রমিকদের এখন চিকিৎসার দায়ভার কে গ্রহণ করবে। কারণ এই ঘটনার পর জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার কোন কর্মকর্তা বা আধিকারিকরা আহত শ্রমিকদের সাথে দেখা করিনি ।বিকেল পর্যন্ত তারা দুর্ঘটনার কারণে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল যা ছিল খুবই অমানবিক।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 × 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য