Thursday, December 5, 2024
বাড়িখবররাজ্যরাজ্যে মাছের চাহিদার সাথে যোগানের সামঞ্জস্য রাখতে পুকুরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত...

রাজ্যে মাছের চাহিদার সাথে যোগানের সামঞ্জস্য রাখতে পুকুরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তরের

বাঙ্গালীদের খাদ্য তালিকায় অন্যতম প্রধান খাদ্য হলো মাছ ভাত। খাবারের থালায় চাই মাছ। অথচ এই মাছ উৎপাদন রাজ্যে চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। বহির রাজ্য কিংবা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা মাছের উপরেই নির্ভরশীল রাজ্যবাসী। প্রশাসনিকভাবে মাছের চাহিদার সাথে যোগানের সামঞ্জস্য রাখতে বারবার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও, বিগত দিন তেমন আশানুরূপ কিছু দেখা যায়নি। মৎস্য দপ্তরের দায়িত্বে তরুণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস আসার পরেই, লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেন ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দপ্তর। মন্ত্রী নিজেও কথায় বিশ্বাসী নয়, কাজে বিশ্বাসী। দপ্তরের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর থেকেই চাহিদার সাথে মাছের যোগানের সামঞ্জস্য রাখতে তৎপর হয়ে ওঠেন তরুণ এই মন্ত্রী। রাজ্যের কোন জলাশয়কে যেন অযথা ফেলে রাখা না হয় তার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয় এখন দপ্তর। মৎস্য দপ্তর চাইছে রাজ্যের সবগুলি পুকুরকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে। তাই রাজ্যের সর্বত্র চলছে এখন মৎস্য চাষীদের মধ্যে মাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি।শুক্রবার মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক, সদর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনা প্রকল্পে আগরতলা পুর নিগমের অন্তর্গত ১৪,১৫,১৬ ও ৩৫ নং পুর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে প্রতি জনে ৫০০ করে মাছের চারাপোনা বিতরণ করা হয়। যাদের ন্যূনতম আধা কানি জলাশয় আছে তাদেরকেই এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। ১৫ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এদিন ৯১ জন সুবিধাভোগীর হাতে মাছের পোনা তুলে দেয় মেয়র দীপক মজুমদার। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেটর তুষার কান্তি ভট্টাচার্য , কর্পোরেটর নিবাস দাস, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মুসলিম উদ্দিন আহমেদ সহ মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। একই সাথে এদিন অনুষ্ঠিত হলো মৎস্য চাষীদের নিয়ে একদিনের এক প্রশিক্ষণ শিবির। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে এদিন মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা হবার পর রাজ্যের মানুষের আর্থিক উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। মৎস্য দপ্তর চাইছে রাজ্যের সবগুলি পুকুরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর। মাছের যোগান ও চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এতে করে একদিকে যেমন চাহিদার সাথে যোগানের সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হবে তেমনি ভাবে আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটা লাভবান হবেন মৎস্য চাষিরা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

18 + six =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য