Sunday, September 8, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই পুরাতন টাউন হলে পালিত হলে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও বিদ্যালয় শিক্ষা...

খোয়াই পুরাতন টাউন হলে পালিত হলে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরে যৌথ উদ্যোগে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠান।

খোয়াই প্রতিনিধি ২৬ শে সেপ্টেম্বর…মঙ্গলবার দুপুরে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ২০৪ তম জন্ম জয়ন্তী উৎসব পালিত হল খোয়াই পুরাতন টাউন হলে। সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার খোয়াই এর পুরাতন টাউন হলে দুপুর দেড়টা নাগাদ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর ও কালচারাল সেল এর ব্যবস্থাপনাতে নামকাওয়াস্ত এক কথায় কোনরকম ভাবে পন্ডিত জির জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হলো। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুসারে বিদ্যা জোতি ও ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা চলছে এই রকম অবস্থাতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করল খোয়াইয়ের জেলা শিক্ষা দপ্তর। বেলা বারোটা থেকে ঐ দিন অনুষ্ঠান সূচনা করার কথা ছিল প্রায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকে। এমত অবস্থায় তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মকর্তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কোনরকমে নিয়ম রক্ষা করে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । খোয়াইয়ের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেলা বিদ্যালয়ের শিক্ষা দপ্তর ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এই বিষয়ে জেলা শিক্ষা দপ্তরের ও এস ডি মতিলাল দেববর্মা কে সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করলেন প্রশ্ন উত্তরে তিনি গোটা ঘটনাটিকে আমতা আমতা করে কাটিয়ে গেছেন। জেলা শিক্ষা আধিকারিক দীনেশ দেববর্মা উনার দপ্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন নি। এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে তিনি ওনার দপ্তরের ও এস ডি মতিলাল দেববর্মা কে পাঠিয়ে উনার দায়িত্বটা দায় সারা ভাবে শেষ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো একজন পন্ডিত ব্যক্তিত্বের জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিত দপ্তরের চরম গাফলিতির কারণে ঘটেছে । উল্লেখ্য এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা। খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, খোয়াই পর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ বণিক ও জেলা শিক্ষা দপ্তরের ও এস ডি মতিলাল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা ।যদিও উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা, ছাত্র-ছাত্রী প্রায় শূন্য পুরাতন টাউন হলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান খুব দ্রুততার সঙ্গে নিয়ম রক্ষা করে অনুষ্ঠান শেষের দিকে নিয়ে যান। এতে করে টাউন হলে খুব বেশি হলে ২০-২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হয়েছেন। অথচ অন্যদিকে রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রী তথা শিক্ষা দপ্তরের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন যাতে করে শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষামান বৃদ্ধি হয়। শিক্ষা দপ্তরে এরকম চরম গাফিলতি প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। খোয়াইয়ের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের অভিযোগ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের এই জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানটি করার আগে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং জেলা শিক্ষা দপ্তরকে নিয়ে বৈঠক করেছে এবং ঐ দিন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ও ঠিক হয়েছে। তারপর ও কেন পরীক্ষা চলাকালীন দিনে জন্ম জয়ন্তী উদযাপন এর উদ্যোগ নেওয়া হল। আসলে শিক্ষা দপ্তর তাদের কর্ম সংস্কৃতি নিয়ে অনেকটাই উদাসীন।তাইতো এই অনুষ্ঠানকে নিয়ে শিক্ষা দপ্তর একেবারে লেজে গোবরে করে দিয়েছে।আর তাতে করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি রাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানের এই চরম হাল দেখে এক প্রকার বিব্রত বোধ করেন এবং কোন মতে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ৩০ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করে ছেড়ে চলে যান ।এ ধরনের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে একজন স্বনামধন্য তথা ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পন্ডিত যাকে সবাই পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নামে সমস্ত জগৎবাসী চিনেন এবং জানেন উনাকে এক প্রকার অপমানিত করা হলো বলে মন্তব্য করেন খোয়াই এর বুদ্ধিজীবী মহল ।যে শহরকে সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং সবাই জানে সেই শহরে একজন পন্ডিতের জন্মতিথি পালন করতে গিয়ে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং শিক্ষা দপ্তর অপমানিত করে ছাড়লো। পাশাপাশি সংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত খোয়াই শহরের গরিমাকে কলঙ্কিত করে ছাড়লো শিক্ষা দপ্তর ।এর জন্য সমস্ত খোয়াই সহর জুরে ছি ছি রব উঠেছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

12 + fourteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য