Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদবিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পরীক্ষা গুলিতে ইংরেজী চাপিয়ে দেওয়া ও উচ্চ হারে ফি নেওয়া...

বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পরীক্ষা গুলিতে ইংরেজী চাপিয়ে দেওয়া ও উচ্চ হারে ফি নেওয়া বন্ধ করার দাবিতে খোয়াইয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন এস এফ আই সংগঠন

খোয়াই প্রতিনিধি ২৬শে সেপ্টেম্বর….ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের স্কুল গুলিতে ইংরেজীর মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।আর সেই সিদ্ধান্ত কে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেছে এস এফ আই খোয়াই বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে।একই সাথে উচ্চ হারে পরীক্ষার ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ও সরকারকে সরে আসার দাবী জানানো হয়েছে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান কালে।সোমবার বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অধীন স্কুলের ইংরেজী মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া ও উচ্চ হারে পরীক্ষার ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে খোয়াই জেলা শাসকের কাছে প্রতিনিধিত্বমূলক ডেপুটেশন প্রদান করেছে এস এফ আই এর খোয়াই বিভাগীয় কমিটি।সংগঠনের বিভাগীয় সভাপতি প্রিয়তোষ দেব ও বিভাগীয় সম্পাদক নারায়ন দাস ছাড়াও চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের বিভাগীয় নেতা সৌরভ দেব ও পার্থ সবর।ডেপুটেশন প্রদান করার সময় এস এফ আই এর প্রতিনিধি দলের তরফে স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয় জেলা শাসক ও সমাহর্তা চান্দনী চন্দ্রনের হাতে।জেলা শাসক এস এফ আই এর তরফ থেকে উপস্থাপন করা দুটি বিষয় নিয়েই সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করার আশ্বাস দেন।স্মারকলিপি প্রদান করে এস এফ আই সংগঠনের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট দুটি বিষয়ে এই মর্মে জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উনাকে অবহিত করে বলেন যে, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পাধীন স্কুলগুলোতে বোর্ড পরিচালিত সব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সহ আগামী দিনের পরীক্ষা গুলো ইংরেজী মাধ্যমে বাধ্যতামূলক ভাবে গ্রহণ করার যে ঘোষণা সি বি এস ই বোর্ডের তরফে দেওয়া হয়েছে, তা বাংলা মাধ্যমের বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের স্কুল সমূহের শিক্ষার্থীদের কাছে ভয়, সংশয়, অসন্তোষ ও অসহায়তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে।কারণ এই অংশের শিক্ষার্থীরা বরাবরই বাংলা মাধ্যমের পড়াশোনায় অভ্যস্ত।বাংলা হলো তাদের মাতৃভাষা আর এই ভাষায়ই তারা সাবলীল। এছাড়া ইংরেজী ভাষায় পঠন পাঠন ব্যায়বহূল।অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে ইংরেজী ভাষার মাধ্যমে পঠন পাঠন করা মোটেই সম্ভব নয়।কারণ উপযুক্ত শিক্ষকের তত্বাবধান ছাড়া ইংরেজী মাধ্যমে পঠন পাঠন রপ্ত করা সম্ভব নয় খুবই কঠিন ব্যাপার।যেহেতু অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা সেরকম নয়।ডেপুটেশন প্রদান করার সময় এস এফ আই এর তরফে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের স্কুল সমূহের উচ্চহারে পরীক্ষা ফি এর বিষয়ে জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিনিধিরা বলেন যে, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের স্কুলসমূহের ব্যাপক অংশের শিক্ষার্থী দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার থেকে আসা।তাদের বাবা মায়েররা অনেকেই দৈনিক হাজিরার দিনমজুরি কাজের সাথে যুক্ত।অনেকেই কৃষি মজুরি করে সংসার চালান।অধিকাংশ পরিবারই আর্থিক দিক দিয়ে অনগ্রসর।ফলে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের স্কুলের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই উচ্চ হারে পরীক্ষার ফি প্রদানে সক্ষম নয়।উচ্চ হারে পরীক্ষার ফি নেওয়ার যে ঘোষণা সি বি এস সি বোর্ড কর্তৃক দেওয়া হয়েছে, তা দুঃস্থ পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পথে অন্তরায় ছাড়া আর কিছুই নয়।এই অবস্থায় এসব শিক্ষার্থীদের মাঝ পথে স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।উল্লে খযোগ্য যে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে এক বিরাট অংশের ছাত্রী।তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।এস এফ আই এর তরফে জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় যে, ইংরেজী মাধ্যমে পরীক্ষা ও উচ্চ হারে পরীক্ষার ফি এর ঘোষণা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকেই বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ব করে তুলেছে।ফলে অভিভাবকেরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।এই অবস্থায় এস এফ আই এর খোয়াই বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে দাবী জানিয়ে বলা হয় যে বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের ইংরেজী মাধ্যমের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।কোনভাবেই যেন শিক্ষার্থীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে তাদের ওপর ইংরেজী মাধ্যমের পরীক্ষা পদ্ধতি চাপিয়ে না দেওয়া হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, ভবিষ্যতে যদি ইংরেজী মাধ্যমেই পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে তার আগে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোতে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে উঠা আবশ্যক।স্কুলে স্কুলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্য্যাপ্ত সংখ্যক ইংরেজীর বিষয় শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার।প্রয়োজনে নার্সারি ও প্রি কে জি স্তর থেকেই ইংরেজী বিষয়ে পঠন পাঠন শুরু করা যেতে পারে।এছাড়া উচ্চ হারে পরীক্ষার ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীর গুণ গত স্বাভাবিক শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।প্রয়োজনে মিড ডে মিল প্রকল্পের মতো সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে সংশ্লিষ্ট স্কুলসমূহে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

seventeen − one =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য