Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদপূর্ব পুরুষদের শেখানো পন্থা'কে অনুসরণ করে কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের উন্নয়ন তথা...

পূর্ব পুরুষদের শেখানো পন্থা’কে অনুসরণ করে কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের উন্নয়ন তথা জীবন জীবিকার মান নির্বাহ করার দৃশ্য পরিলক্ষিত হল তেলিয়ামুড়া মহকুমার ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনস্থ রঙ্গিয়া টিলা গুচ্ছগ্রাম এক উপজাতি পরিবারের মধ্য

কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের নিজ নিজ সংসারে উপার্জন কেবলমাত্র সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। পূর্ব পুরুষদের শেখানো পন্থা’কে অনুসরণ করে কোন জাতি বা সম্প্রদায়ের উন্নয়ন তথা জীবন জীবিকার মান নির্বাহ করার একটা প্রয়াস করে থাকে । এমনটাই এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হল দাবদাহ গরমের মধ্যে নিজের হাতে পাখা ও খাড়া তৈরি করে বিক্রি। তাও আবার তেলিয়ামুড়া মহকুমার ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনস্থ রঙ্গিয়া টিলা গুচ্ছগ্রাম এক উপজাতি পরিবারের মধ্য থেকে বিরল এই দৃশ্য। যেকোন মানুষ সরকারি কিংবা পূর্ব পুরুষদের শেখানো পন্থা কে অনুসরণ করে জীবন জীবিকার মান ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়তই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। হোক না কায়িক শ্রম বিনিময় করে, নতুবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। পূর্বপুরুষদের শেখানো পথ অনুসরণ করে জীবন জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য বহু পথ যে খোলা রয়েছে তার এক দৃষ্টান্ত উঠে এলো মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন রঙ্গিয়াটিলা গুচ্ছগ্রামে এক প্রবীন আদিবাসী ঘর থেকে। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাখা ও খাড়া তৈরি করার পদ্ধতি শিখেছিল ওই এলাকার প্রবীণ নাগরিক মন্টু দেববর্মা। সংসারের ভরণপোষণ করার জন্য ছোটবেলা থেকে মন্টু দেববর্মা শিখেছিল পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে খাড়া এবং বাঁশ বেতের মাধ্যমে পাখা তৈরি কাজ। সেই সময় থেকে মন্টু দেববর্মা বাবা-মায়ের সহযোগিতা করার কাজে হাত লাগিয়েছিল। সেই শখ বর্তমান পরিস্থিতির মাঝে রোজগারের একটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মন্টু দেববর্মার সংসারে স্ত্রীর মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য খাড়া এবং বাঁশ বেতের তৈরির পাখা উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল বর্তমানে। তবে বনদস্যুদের দৌলতে বর্তমানে বাঁশের যেমন স্বল্পতা রয়েছে তৎ সঙ্গে বাজারে বিক্রি করে তেমন দাম পাননি বলে অভিযোগ করে জানান। বিগত দিন গুলিতে ১৮ মুড়ার পাহাড়ের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে হাতের নাগালে অনায়াসে পাওয়া যেত বাঁশ । কিন্তু বর্তমানে বাঁশ গভীর জঙ্গলে পূর্বেকার মতো পাওয়া যায়না। ফলে অর্থের বিনিময়ে কারোর কাছ থেকে খাড়া কিংবা পাখা তৈরি করার জন্য বাঁশ বেত কিনতে হয় উনাকে। কিন্তু অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বাঁশ বেতের তৈরি জিনিস সামগ্রী চাহিদা তুলনামূলক কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারজাত করেও সেই রকম লাভের মুখ দেখছেনা মন্টু বাবু। বিগত দিনগুলিতে খাড়া কিংবা বাঁশের পাখা চাহিদা ছিল খুবই বেশি। চৈত্রের শেষ লগ্নে এবং বৈশাখের প্রাক্কালে বিভিন্ন মেলাতে বাঁশ বেতের তৈরি জিনিস সামগ্রীর চাহিদা ছিল অনেকাংশেই বেশি। জাতি উপজাতি সকল অংশের মানুষের গ্রামীন মেলাগুলি থেকে ক্রয় করতে বাঁশ বেতের তৈরির সামগ্রী। এবং দোকানদারিরা পাসরা সাজিয়ে বসে থাকতো খদ্দের আশায়। আর সকল জিনিস সামগ্রী বিক্রি করে মন্টু দেববর্মার মতো বহু পরিবার জীবন জিবীকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে বাঁশ বেতের তৈরি করা জিনিস সামগ্রী চাহিদা খুবই কম। ফলে মন্টু দেববর্মা’র মতো অনেক উপজাতি গিরি বাসীরা বর্তমানে বিপাকে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য