মেডিকেলের সেমিস্টারের শোচনীয় ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ।এর কারণ সঠিকভাবে জানার জন্য স্বাস্থ্য সচিব কে নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার জিবি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিল্ডিং ,সংক্রামক রোগ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,মেডিকেল কলেজগুলিতে কোন অবস্থাতেই জোড়াতালি চালিয়ে দিয়ে কাজ করা চলবে না। টিএমসি তে মেডিকেলের আরো ৫০টি আসন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার জিবি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিল্ডিং, সংক্রামক রোগ কেন্দ্র, ২০ শজ্জা বিশিষ্ট বিশেষ ওয়ার্ডের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।একই অনুষ্ঠানে জিবি হাসপাতালের কে এল এস অডিটোরিয়ামে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট ,লখনৌ’র সাথে টেলি মেডিসিন সংযোগ এবং আন্তঃ বিভাগীয় কল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হয় ।এই অনুষ্ঠানে দিল্লি থেকে এইমসের অধিকর্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র মেডিকেলের আসন বরাদ্দ ছিল ত্রিপুরার জন্য। এখন রাজ্যেই মেডিকেলের সিট বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪০০টি ।বিষয়টি গর্বের ব্যাপার ।মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান ,আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে টিএমসিতে আরো ৫০ টি মেডিকেলের আসন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা বাকি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতসবের পরেও মেডিকেলের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পত্রপত্রিকায় বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে ।৪০০ টি সিটের মধ্যে পাশের শতকরা হার এত হ্রাস পেলে তবে তা চিন্তার বিষয় ।এই বিষয়ে বিশদ জানার জন্য স্বাস্থ্য সচিব কে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।তিনি বলেন, টিএমসি এবং শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের ফলাফলের কারণ জানতে হবে ।কোন অবস্থাতেই জোড়া তালি দিয়ে কাজ চলানো বরদাস্ত করা হবে না ।কেন এমন ফলাফল হলো তা জানতে হবে ।এই ক্ষেত্রে যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় তবে সরকার তা করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্তে ছাড়াও এজিএমসি অধ্যক্ষ অনুপ কুমার সাহা ,এম এস ডাক্তার শঙ্কর চক্রবর্তী ,অধিকর্তা ডাক্তার অঞ্জন দাস, মেডিকেল এডুকেশনের আধিকারিক ডাক্তার এইচপি শর্মা ,ওএনজিসি ত্রিপুরা এসেট ম্যানেজার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



