প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের নবনির্মিত পরিকাঠামোর উন্নয়নের ঘটনা রাজ্যের পর্যটনকে আরো সমৃদ্ধ করবে ।বুধবার আগরতলা পৌর নিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের গরীব দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা।
বুধবার নবরাত্রির তৃতীয়া তিথি। এই দিনে শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে ৮ টাউন বড়দোয়ালী মন্ডলের অধীন আগরতলা পৌর নিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে গরীব দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার ,বিজেপির সদর শহর জেলা কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্যরা ।অনুষ্ঠানে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা ।এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক উদয়পুরে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের নবনির্মিত অবকাঠামোর উদ্বোধনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গোটা দেশ এবং বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি জানান ,ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার পুন্যার্থীর সমাগম ঘটে ।বছরে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ দর্শনার্থীর সমাগম হয় ।কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানের পর সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের প্রচার এবং প্রসার ঘটেছে ।এর ফলে দর্শনার্থীদের আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে কোথায় দাঁড়াবে সেটা সবাই দেখবেন। এই মন্দির আগামী দিনে পর্যটনে বিশেষ স্থান করে নিতে পারবে বলে দৃঢ়তার সাথে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।এর ফলে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে ।আর্থিক বিষয়টি শক্তিশালী হলে একটা পরিবার যেমন শক্তিশালী হয় তেমনি রাজ্যও শক্তিশালী হবে ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,এটা সবে মাত্র শুরু ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিএসটির নতুন সংস্করণ নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন ,জিএসটি পাঁচটি স্ল্যাব থেকে কমিয়ে দুটি স্লেবে করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা হবে এবং এর ফলে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান ,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের গত ১১ বছরে বিশ্বের মধ্যে ১১ তম স্থান থেকে ভারত বর্তমানে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।