কোন জমিকে পতিত অবস্থায় ফেলে রাখা চলবে না। একে কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে। গত পরশু টাকারজলা বাজারে প্রাইমারি রুরাল মার্কেট শেড এবং কৃষি কল্যাণ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক চাষের মাধ্যমে অল্পদিনের মধ্যে বেশি ফলন ফলিয়ে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এক যোগে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে কৃষকদের মাসিক আয় ছিল ৬,৫৮০ টাকা। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩,৫৯০ টাকা। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ৩০টি ব্লক খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরমধ্যে জম্পুইজলা ব্লক হচ্ছে অন্যতম। তিনি বলেন, ধানের বীজ উৎপাদনে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। জম্পুইজলা মহকুমায় পিএম-কিষাণ প্রকল্পে ৩,৪০০ জন কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। মোট ১৯টি কিস্তিতে তাদের ১১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্যে কৃষকদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে এবং তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। কৃষক হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা। সমাজে কৃষকরা ভালো থাকলে সবাই ভালো থাকবেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কৃষকদের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ফনীভূষণ জমাতিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জম্পুইজলা বিএসি’র চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই, বিধায়ক মানব দেববর্মা, সমাজসেবী নির্মল দেববর্মা, সমাজসেবী আর্জুন দেববর্মা, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনীয়ার স্বপন কুমার দাস প্রমুখ।
টাকারজলা বাজারের প্রাইমারি রুরাল মার্কেট শেড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৪,১১,৪৫৪ টাকা। জম্পুইজলা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মহকুমার কৃষক কল্যাণ গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানে কৃষক কল্যাণ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন কৃষিমন্ত্রী।