ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন সময়ের শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যের বাক যুদ্ধ এবার অধিবেশন কক্ষের বাইরে চলে এসেছে। সুযোগ-সুবিধা ইস্যুতে এবার ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় এবং বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে।
বিধানসভা অধিবেশনের সময় হাউসের ভিতরে মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্পিকার তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাত মূলক আচরণ করছেন। বিধানসভা অধিবেশনের ভিতর শাসক দলের মন্ত্রী বিধায়করা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায় বিধানসভায় তার অফিসে বসে সংবাদ সম্মেলন করে জিতেন চৌধুরীর তীব্র সমালোচনা করেন। তথ্য সহকারে তিনি তুলে ধরে জানান জিতেন চৌধুরী বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার স্ত্রীর নামের বাড়িতে সরকারি খরচে কি কি সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। ফ্রিজ এসি মেশিন কম্পিউটার মোবাইল থেকে শুরু করে গায়ে মাখার সাবান পর্যন্ত তিনি সরকারি খরচে নিচ্ছেন বলে কল্যাণী রায় জানান। পাশাপাশি কল্যানীরা আরো বলেন বামফ্রন্ট সরকার যখন অর্থাৎ জিতেন চৌধুরীরা যখন রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিরোধী দলের বিধায়ক এবং বিরোধীদল নেতাকে তেমন কোন সরকারের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হতো না। তাই এই পরিস্থিতিতে জিতেন চৌধুরীর এমন মন্তব্য উচিত হয়নি বলেও জানান পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আমরা ৭ বছরে এমন কোন অবৈধ কাজ করেননি য়ার জন্য অধ্যক্ষ ও মুখ্য সচেতক কে অভিযোগের কাঠ গড়ায় দার করাবেন, বিরোধী দলনেতার এই ধরনের অভিযোগ কে মানতে নারাজ বিধানসভার মুখ্য সচেত কল্যাণী রায়।