২০২৪-২৫ অর্থবছরে এমজিএন রেগায় রাজ্যের জন্য প্রায় ১২০০ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ১১২২.৬২ কোটি এবং রাজ্য থেকে ৭৭.৪৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এবছর এখন পর্যন্ত ৭৬০ কোটি টাকা মজুরি বাবদ প্রদান করা হয়েছে। আজ বিধানসভায় বিধায়ক দীপঙ্কর সেন কর্তৃক আনিত বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। বেসরকারি প্রস্তাবটি ছিল ‘রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে দুর্বিষহ অভাব রুখতে বছরে ন্যূনতম ২০০ দিন কাজ এবং প্রতি শ্রমদিবসে ৩৪০ টাকা মজুরি প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য ত্রিপুরা বিধানসভা অনুরোধ জানাচ্ছে’।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, এমজিএন রেগা একটি চাহিদা ভিত্তিক প্রকল্প। চাহিদা অনুযায়ী প্রতি জব কার্ড (গ্রামীণ পরিবার) ১০০ দিন পর্যন্ত কাজ পেতে পারেন। পাট্টাপ্রাপকরা ১৫০ দিন পর্যন্ত কাজ পেতে পারেন। বর্তমানে রাজ্যে শ্রমদিবস পিছু সর্বোচ্চ ২৪২ টাকা মজুরি প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গড়ে ৬০ দিন কাজ হয়েছে, যেখানে জাতীয় গড় শ্রমদিবস মাত্র ৪৮ দিন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশের মধ্যে গড় শ্রমদিবসের দিক দিয়ে রাজ্যের স্থান ছিল চতুর্থ। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজ্যে গড়ে ৬৩ দিন কাজ হয়েছে, যেখানে জাতীয় গড় শ্রমদিবস মাত্র ৫২ দিন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরেও দেশের মধ্যে গড় শ্রমদিবসের দিক দিয়ে রাজ্যের স্থান ছিল চতুর্থ। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাজ্যে গড়ে ৫৯ দিন কাজ হয়েছে যেখানে জাতীয় গড় শ্রমদিবস মাত্র ৪৯ দিন। দেশের মধ্যে গড় শ্রমদিবসের দিক দিয়ে রাজ্যের স্থান বর্তমানে সপ্তম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থ বছরে এমজিএন রেগায় রাজ্যের জন্য ৩ কোটি শ্রমদিবসের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির কারণে শ্রমদিবসের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩.৪৫ কোটি শ্রমদিবস করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন বিধায়ক গোপাল রায়, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
বিধায়ক দিপঙ্কর সেন আনিত বেসরকারি প্রস্তাবের উপর বিধায়ক জীতেন্দ্র মজুমদার একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। সংশোধনী প্রস্তাবটি হল ‘রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে এমজিএন রেগা প্রকল্পে প্রত্যেক জবকার্ড হোল্ডারকে নীতিমালা অনুসরণ করে অধিক সংখ্যক শ্রমদিবসের কর্মসংস্থান সহ সময়মত মজুরি প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য ত্রিপুরা বিধানসভা রাজ্য সরকারকে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে’। সংশোধনী প্রস্তাবটি সভা কর্তৃক গৃহীত হয়।