আগামীকাল ২রা জানুয়ারি থেকে হাপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হতে চলেছে ৪৩ তম আগরতলা বইমেলা। বইমেলাকে কেন্দ্র করে বুধবার শেষ পর্বের প্রস্তুতি চলছে হাপানিয়া মেলা প্রাঙ্গণে। আল্পনায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণ। সেই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বহিঃরাজ্য থেকে আগত বিভিন্ন বুক সেলার্স ও পাব্লিশার্সরা নিজ নিজ স্টলগুলোকে বই দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন।
একটি জাতির মেধা ও মননের আঁতুড়ঘর হলো বই। একই সাথে একটি রাষ্ট্রের সকল মেধার সংগ্রহশালা হলো এই লাইব্রেরি। কিন্তু জ্ঞানান্বেষনের উদ্দেশ্যে লাইব্রেরিতে গিয়ে বইপড়া ও বই সংগ্রহ করার ইচ্ছা ও সুযোগ অনেকেরই হয় না। তাই সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রয়োজনে এই সংগ্রহশালাকে মেলার মধ্য দিয়ে প্রদর্শন ও প্রচার করা হয়ে থাকে। আর এই মেলা হলো আমাদের সকলের পরিচিত বইমেলা। বইমেলার মাধ্যমে যেমন বিশাল জ্ঞানের ভান্ডার চলে আসে সকলের হাতের নাগালে,একইভাবে মেলা উপলক্ষে আমোদ-প্রমোদও হয়ে থাকে। তাই মানুষকে আমোদ-প্রমোদের মাধ্যমে বইমুখী করে তোলার জন্য এক অনবদ্য অবদান রয়েছে এই বইমেলার। আট থেকে আশি সকলের জন্য উপযুক্ত বইয়ের সম্ভার থাকে এই বইমেলায়। আগামীকাল অর্থাৎ ২রা জানুয়ারি থেকে হাপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হতে চলেছে ৪৩ তম আগরতলা বইমেলা। বইমেলাকে কেন্দ্র করে বুধবার শেষ পর্বের প্রস্তুতি চলছে হাপানিয়া মেলা প্রাঙ্গণে। আল্পনায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণ। সেই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বহিঃরাজ্য থেকে আগত বিভিন্ন বুক সেলার্স ও পাব্লিশার্সরা নিজ নিজ স্টলগুলোকে বই দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে এক বই ব্যবসায়ী বলেন, বইয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সর্বগ্রাসী মোবাইল ও ইন্টারন্যাটের কারণে বইমেলা একটি বিশাল ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে বইয়ের প্রতি মানুষের ঝোঁক রয়েছে এবং বইমেলা সফল হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১৪ই জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে আগরতলা বইমেলা।