৪৩তম আগরতলা বইমেলা আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার পৌরোহিত্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৪৩তম আগরতলা বইমেলা আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নবীন প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই বইমেলা আয়োজনের স্বার্থকতা আসবে। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেটের যুগে নবীন প্রজন্মের মাঝে বইয়ের গুরুত্বকে তুলে ধরা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তাই এবারের বইমেলায় আরও বেশি করে বিভিন্ন স্তরের ছাত্রছাত্রীদের কিভাবে যুক্ত করা যায় তারজন্য পদক্ষেপ নিতে তিনি অনুরোধ করেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ক্লাবগুলিকে বইমেলা থেকে বই ক্রয় করার জন্য অনুরোধ করেন। বইমেলা প্রস্তুতি সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের
সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, ৪২তম আগরতলা বইমেলার থিম ছিল ভব্য ভারত। মোট বইয়ের স্টল ছিল ১৭৫টি। এছাড়া বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারা রাজ্যের ১৬০০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত কবি সম্মেলনে ৩৪৫ জন কবি অংশগ্রহণ করেন। মোট ১৫৪টি বই প্রকাশিত হয়। তাছাড়াও এই বইমেলা উপলক্ষে সেমিনার, ক্যুইজ, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সভায় আগরতলা বইমেলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। তাছাড়াও আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শানিত দেবরায়, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, দিবাকর দেবনাথ, সুপ্রিয় দত্ত, অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্সের পক্ষ থেকে উত্তম চক্রবর্তী, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাখাল মজুমদার, বিশিষ্ট কবি নকুল রায় প্রমুখ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যদেও পোদ্দার প্রমুখ।