প্রি মেট্রিক এবং পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের জন্য আবেদনকারী ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ২ হাজার ৫১০ জনের আবেদনপত্রে অসঙ্গতি রয়েছে ।রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে। তিনি আরো জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে 90% ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ এর টাকা ইতিমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে।
জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রি ম্যাট্রিক এবং পোস্ট ম্যাট্রিক কলারশিপ প্রদান নিয়ে রাজ্য জুড়ে জোড় বিতর্ক শুরু হয়েছে ।এই বিতর্ক অবসানে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হলেন উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে।রবিবার আগরতলা প্রেসক্লাবে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান ,জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিমেট্রিক এবং পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের জন্য এনএসপি পোর্টালের মাধ্যমে মোট ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন ছাত্রছাত্রী আবেদন করেন। এরমধ্যে ৩০ হাজার ৬০২ জনকে যথারীতি স্কলারশিপ এর টাকা প্রদান করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্কলারশিপ এর জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে ৮৫.৮ ০ শতাংশ আবেদনকারী টাকা পেয়ে গেছেন ।বাকি ৪ হাজার ৯৬৬ জনের মধ্যে ২ হাজার ৪৫৬ জনের আবেদনপত্র বৈধ রয়েছে। কিন্তু তাদের আধার কার্ডের সাথে ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর লিংক করা হয়নি ।এরই মধ্যে ১ হাজার ৪৬৮ জন আধার লিঙ্ক করে নিয়েছেন ।তাদের পেমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বুধবারের মধ্যে তারা স্কলারশিপের টাকা পেয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব আরো জানান, বুধবারের মধ্যেই প্রায় ৯০% ছাত্রছাত্রীর স্কলারশিপের টাকা পেয়ে যাবেন ।বাকি ২৪৫৬ জনের মধ্যে ৯৮৮ জনের ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার লিঙ্ক হয়নি। এছাড়া ২৫১০ জনের মধ্যে ২ হাজার ২১২ জন ছাত্রছাত্রী বহিরাজ্যে পড়াশোনা করছেন এবং ২৯৮ জন ছাত্রছাত্রী রাজ্যে পড়াশোনা করছেন ।এদের পূরণ করা ফর্মে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে বলে জানান তিনি ।তিনি জানান ,এদের মধ্যে কেউ ভুল ইনকাম সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। কেউ কেউ আবার যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন বলে উল্লেখ করেছেন ভেরিফিকেশনে দেখা গেছে তারা সেই বিদ্যালয়ের ছাত্র নন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিজেশ পাণ্ডে আরো জানান, উল্লিখিতদের মধ্যে ৯০ জন ভুল আবেদনপত্র দাখিল করেছেন ।১২১ জন ভুল ইনকাম সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন ।তিনি আরো জানান , সংশ্লিষ্টদের আবেদন পত্র গুলি পর্যবেক্ষণের জন্য দপ্তর থেকে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।