বিগত ছয় মাস যাবত বন্ধ রয়েছে হেজামার মৎস্য দপ্তরের একটি মৎস্য চাষ সামগ্রি কেন্দ্র। বুধবার এই কার্যালয় পরিদর্শন করে কার্যালয়ের ইনচার্জ কে শোকজ করার নির্দেশ দিলেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
২০১৭ সালে তৎকালীন মৎস্য ও অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া হেজামারা ব্লকে একটি মৎস্য চাষ সামগ্রী মজুদ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ।এই কার্যালয়ে মৎস্য দপ্তরের মৎস্য চাষের সামগ্রীগুলি এনে মজুদ রাখা হতো ।এই কার্যালয় থেকে পড়ে সামগ্রী গুলি সংশ্লিষ্ট এলাকার মৎস্য চাষীদের বিতরণ করা হতো। কিন্তু গত 6 মাস ধরে এই কার্যালয়ের তালা খোলা হচ্ছে না ।দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ অফিস খুলছেন না ।এর ফলে মৎস্য চাষ সামগ্রী গুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে অফিসের পরিকাঠামো গুলিও ।বুধবার হেজামারার এই মৎস্য চাষ সামগ্রী মজুদ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিনি গিয়ে দেখেন দপ্তরের অফিস কক্ষে তালা ঝুলানো। মন্ত্রীর সাথে ছিলেন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। মন্ত্রী আধিকারিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অফিসের ইনচার্জকে ডেকে পাঠান এবং অফিস ঘর খোলানোর ব্যবস্থা করেন। অফিস ঘরের এই অবস্থা দেখে চক্ষু চরক গাছে উঠে মন্ত্রীর। তিনি এই কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইনচার্জকে শোকজ করার জন্য নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ,মৎস্য দপ্তরকে সক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস ।রাজ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একদিকে যেমন আধিকারিকদের নিয়ে ঘনঘন পর্যালোচনা বৈঠক করছেন, তেমনি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মৎস্য দপ্তরের কার্যালয় পরিদর্শন করছেন ।মন্ত্রীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে ।কিন্তু দপ্তরের একাংশের আধিকারিকদের চূড়ান্ত খামখেয়ালিপণার কারণে মৎস্য দপ্তরের সার্বিক বিকাশ সম্ভব হচ্ছে না ।হেজামারার মৎস্য চাষ সামগ্রী মজুদ কেন্দ্রের ঘটনা এরই প্রমাণ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।